নগদের কারবার উঠে গিয়েছে। চেক দেওয়ার ব্যবস্থাও প্রায় অবলুপ্ত। সরকারি কর্মচারীদের বেতন, ঠিকাদারের বিল থেকে শুরু করে সব পাওনাই নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে পৌঁছে যায় প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। গত দেড় বছরে প্রশাসনের সব স্তরেই এই ই-ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। কেবল কলকাতা হাইকোর্টের ৪১ জন কর্মরত বিচারপতির বেতন এখনও সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো যাচ্ছে না।
নবান্নের এক কর্তা জানান, বিচারপতিদের যাতে ই-ব্যবস্থার মাধ্যমে বেতন দেওয়া যায়, তা বোঝাতে অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী দু’বার হাইকোর্টে গিয়ে অনুরোধ করেছেন। অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেতন দেওয়ার অনলাইন ব্যবস্থাটি সম্পূর্ণ করার জন্য ৩১ অগস্ট সময়সীমা ঠিক করা হয়েছে। এক কর্তা বলেন, ‘‘আশা করছি, যাঁরা এখনও আসেননি, তাঁরা ওই সময়ের মধ্যে ই-ব্যবস্থায় চলে আসবেন।’’
অর্থ দফতর সূত্রের খবর, ২০১৫ সাল থেকে রাজ্য সরকার ‘ই-প্রদান’ এবং ইন্টিগ্রেটেড ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস নামে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে সব পাওনা মেটায়। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর সরকার প্রায় ২ কোটি ২৭ লক্ষ লেনদেনের মাধ্যমে মোট ৭৮ হাজার কোটি টাকা মিটিয়েছে।
এর মধ্যে ১০ লক্ষ কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকার বেতন-সহ সব পাওনাই রয়েছে। ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪৫ লক্ষ লেনদেনের মাধ্যমে প্রায় ৮০০০ কোটি টাকাও মিটিয়েছে সরকার। হাইকোর্টের প্রায় ২০০০ কর্মীও অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারের মাধ্যমেই বেতন পান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy