অভ্যর্থনা: উত্তরকন্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পবন চামলিং। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
বিমল গুরুঙ্গের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত বছরের অর্ধেক সময় ধরে দুই রাজ্যের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি চলেছে, তা এখন অতীত। শুক্রবার বৈঠকের পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবনকুমার চামলিং একযোগে এই কথাই জানিয়ে দিলেন। চামলিংকে পাশে বসিয়ে মমতা আরও বলেন, ‘‘যা হওয়ার হয়েছে। ওদের (বিমল গুরুঙ্গদের) সিকিম আর কোনও রকম সাহায্য করবে না।’’
শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়িতে শাখা সচিবালয় উত্তরকন্যায় দুই মুখ্যমন্ত্রী প্রায় ২০ মিনিট একান্তে বৈঠক করেন। পরে সেখানে দুই রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, আমলা, শীর্ষ পুলিশকর্তারাও যোগ দেন। সূত্রের খবর, আলোচনার সময়ে সিকিমের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগে পাহাড়ের আন্দোলন সমর্থন করলেও এখন তা অতীত।
বৈঠকের পরে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বলেন, ‘‘সিকিম আমাদের বন্ধু।’’ তিনি স্পষ্ট করে দেন, পুরনো ভুল বোঝাবুঝি সব মিটিয়ে নেওয়া হবে। জানান, এ বার থেকে দুই রাজ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করবে। তিনি বলেন, ‘‘পরিবহণ থেকে পর্যটন, সমস্ত বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতা করব আমরা।’’ চামলিং বলেন, ‘‘কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। মিটে গিয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘দার্জিলিং-বাংলা আমাদের পাশেই থাকবে। আমরা একযোগে দুই রাজ্যের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য কাজ করব। দার্জিলিঙের জন্যেও করব। বাকিটা ম্যাডাম সব বলেই দিয়েছেন। আমরাও তাতে একমত।’’
গত বছর জুনে পাহাড়ে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই ঘোষণা করে গুরুঙ্গদের পাশে দাঁড়ায় সিকিম। গোর্খাল্যান্ডকে সমর্থন থেকে শুরু করে গুরুঙ্গকে আশ্রয় দেওয়া— বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। তারাও পাল্টা অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করে। গুরুঙ্গকে ধরতে যে অভিযান চলে, তাতে কালিম্পঙের তৎকালীন এসপি-র বিরুদ্ধে এফআইআর-ও হয় নামচি থানায়। সম্পর্কের এই টানাপড়েনের মধ্যে সম্প্রতি সিকিমের বাণিজ্যিক গাড়ি পশ্চিমবঙ্গে ঢোকা নিয়ে বিধিনিষেধ জারি করে পশ্চিমবঙ্গ। এর পরেই বৈঠকে বসতে চান চামলিং।
মমতা এ দিন গাড়ি যাতায়াত নিয়ে বিধিনিষেধ শিথিলের ইঙ্গিত দেন। দুই রাজ্যের পর্যটক ব্যবসায়ীরাও মনে করছেন, এর ফলে আখেরে দু’পক্ষেরই লাভ হবে।
মমতা নিজে সিকিম যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। চামলিংকেও কলকাতায় আমন্ত্রণ জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy