প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর ভাল লাগে। তবে মতাদর্শগত দিক থেকে দু’জনের অবস্থান আলাদা। ফলে সেই লড়াই থাকবে। শনিবার অ-জানাকথায় এসে এমনটাই জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ ববি হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে মোদীকে আমার নিশ্চিত ভাবে ভাল লাগে। কিন্তু আমার নীতি, আমার আদর্শ ভিন্ন। সেখানে নিশ্চিত ভাবে লড়াই থাকবে। আমি গাঁধীবাদে বিশ্বাস করি, আর উনি মুখে না বললেও গডসেবাদে বিশ্বাস করেন। আরও কিছু পার্থক্যও রয়েছে।’’
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সরকারি কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে একাধিক বার রাজ্যে এসেছেন মোদী। প্রটোকল অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধিকে স্বাগত জানাতে যেতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দায়িত্ব বেশ কয়েক বার ফিরহাদকে দিয়েছিলেন। সেই হেতু তাঁর সঙ্গে মোদীর কথাবার্তাও হয়। ওই প্রসঙ্গ তুলে ধরেই ফিরহাদ বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে ওঁর তিন-চার বার কথা হয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে যত বার দেখা হয়েছে খুব সুন্দর ব্যবহার করেছেন। তাতে কোনও লড়াই নেই। একটা মানুষকে যতটা শ্রদ্ধা করা যায়, মোদীকেও ততটা করি।’’
গত লোকসভা ভোটের সময় রাজ্য সফরে এসেছিলেন মোদী। তখন সবে কলকাতার মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছেন ফিরহাদ। তাঁর উপরই দায়িত্ব বর্তায় বিমানবন্দরে মোদীকে স্বাগত জানানোর। বিমানবন্দরে নেমেই ফিরহাদকে দেখে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আরে হাকিমসাহেব কেমন আছেন? মন্ত্রিত্বের কাজ কেমন চলছে? ওই সময় পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজেপি-র তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি মোদীকে জানান, ফিরহাদ শুধু মন্ত্রী নন, এখন তিনি শহরের মেয়রও। এ কথা শুনে নতুন মেয়রের দিকে হাত বাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ব্যক্তিগত স্তরে ওই কথা অনেক বারই বলতে শোনা গিয়েছে ফিরহাদকে।
নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি-র ‘গডসে প্রীতি’ নিয়ে ফিরহাদের মন্তব্য, ‘‘ছোটবেলা থেকে আমরা কংগ্রেস করেছি। গাঁধীবাদ, সুভাষবাদ— জিন্দাবাদ বলতে বলতে বড় হয়েছি। আর ওঁরা মুখে না বললেও গডসেবাদে বিশ্বাস করে। ফলে আদর্শগত পার্থক্য রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy