Advertisement
০৬ জুলাই ২০২৪
TMC on Farakka Treaty

‘বাংলা বিক্রির পরিকল্পনা’! রাজ্যকে এড়িয়ে মোদী এবং হাসিনার ফরাক্কা চুক্তির নবীকরণে ক্ষুব্ধ তৃণমূল

গঙ্গাভাঙন নিয়ে ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। দু’বছর আগে মমতা বলেছিলেন, ফরাক্কা বাঁধের জন্যই বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকাকে ভাঙনের মুখে পড়তে হচ্ছে।

Farakka Ganga Treaty between INDIA and Bangladesh has been renewed without consulting West Bengal, Says TMC

(বাঁ দিক থেকে) নরেন্দ্র মোদী,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪ ২০:১৪
Share: Save:

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে ফরাক্কা চুক্তির নবীকরণ হয়েছে শনিবার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ে আপত্তি তুলল বাংলার শাসকদল তৃণমূল। মূল অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে নবীকরণ করা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে এই চুক্তি নবীকরণকে বাংলাকে ‘বিক্রি করার পরিকল্পনা’ হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিস্তা চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তৃণমূলের তরফে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের বুকে রাজ্যকে এড়িয়ে রাজ্যের স্বার্থ বিঘ্নিত হয় এমন কোনও কাজ করা সহজ হবে না।

তৃণমূলের বক্তব্য, “ফরাক্কা-গঙ্গা চুক্তিতে রাজ্য সরকারও পক্ষ। কিন্তু নবীকরণের বিষয়ে রাজ্য সরকারকে কিছুই জানানো হয়নি। যা অত্যন্ত খারাপ।” পাশাপাশিই বলা হয়েছে, এই চুক্তি বাবদ রাজ্য সরকারের যে পাওনা টাকা, তা-ও বকেয়া রয়েছে। গঙ্গার ড্রেজ়িংয়ের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যা বাংলায় বন্যা এবং ভাঙনের প্রাথমিক কারণ হয়ে উঠেছে।

১৯৯৬ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গার জল নিয়ে চুক্তি হয়েছিল। তাতে একাধিক রাজ্য সরকারও শরিক। যে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তৃণমূল বলছে, ২০১৭ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও ফরাক্কার বাঁধের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বেড়িবাঁধ দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার একাংশে গঙ্গাভাঙন নিয়ে ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল বলেছে, দু’বছর আগে মমতাও বলেছিলেন, ফরাক্কা ব্যারেজের জন্যই বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকাকে ভাঙনের মুখে পড়তে হচ্ছে। যার ফলে মানুষের ভিটেমাটি যেমন যাচ্ছে, তেমনই ক্ষতি হচ্ছে চাষেরও।

বাংলার শাসকদলের তরফে খানিকটা হুঁশিয়ারির সুরেই তিস্তা জলবণ্টন চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী অন্য দেশের সঙ্গে কোনও বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত করার অধিকার কেন্দ্রের রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রকে এটাও বুঝতে হবে, রাজ্য সরকার সহযোগিতা না-করলে তিস্তা জলবণ্টনের মতো চুক্তি থমকে থাকে। তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থানের পর কেন্দ্রও সম্মত হয়েছে, বাংলাকে এড়িয়ে গিয়ে তারা কিছু করবে না। অনেকের মতে, রাজ্যকে এড়িয়ে ফরাক্কা চুক্তি নবীকরণ হওয়ায় তিস্তা চুক্তি আরও বিশবাঁও জলে চলে গেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE