শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে তাদের আপত্তির জায়গাগুলো লিখে ৭৬ পাতার রিপোর্ট শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পেশ করল বিশেষজ্ঞ কমিটি। শিক্ষামন্ত্রী রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবেন। সম্প্রতি কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে সরব হয় রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, শিক্ষা যৌথ তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই নীতি তৈরি করেছে। এই নীতি খতিয়ে দেখে তার আপত্তির জায়গাগুলো তুলে ধরতে রাজ্য সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার সহ ৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনকেও এই জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে মত দিতে বলা হয়। ১৫ অগস্টের মধ্যে এই রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল বিশেষজ্ঞ কমিটির।
সূত্রের খবর ৪০টি আপত্তির জায়গা তুলে ধরেছে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি। তার মধ্যে স্কুল শিক্ষা যেমন আছে সে রকম আছে উচ্চ শিক্ষার আপত্তির জায়গাও। রিপোর্টে বলা আছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সেমেস্টার সিস্টেম নিয়ে যা বলা আছে তা পরিষ্কার নয়। মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকবে থাকলে কি ভাবে থাকবে না তুলে দেওয়া হবে তা পরিস্কার নয়। নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত পড়ুয়ারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়তে পারবে বলা হয়েছে, কিন্তু স্কুলগুলোতে তার পরিকাঠামো কী ভাবে তৈরি হবে সে কথা বলা হয়নি বলে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে। প্রথম শ্রেণির আগে তিন বছর বয়স থেকে যে স্কুলে পড়ানো হবে তার জন্য যে বিপুল সংখক শ্রেণি কক্ষ লাগবে ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক লাগবে তার পরিকাঠামো তৈরি করা কিভাবে এত অল্প সময়ে সম্ভব হবে সেই প্রশ্নও তুলেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। উচ্চশিক্ষায় কলেজগুলোতে যে প্রতি বছর ডিগ্রি দেওয়া হবে তা আমাদের দেশে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কতটা কার্যকরী হবে সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। উচ্চ শিক্ষার গবেষণার জায়গাগুলোয় একাধিক আপত্তির কথা জানান বিশেষজ্ঞরা। বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার তকমা না-দেওয়ায় রিপোর্টে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy