ডেঙ্গি নিয়ে সতর্কতা প্রাথমিক স্কুলগুলিতে।
ডেঙ্গি রুখতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে ৮ নির্দেশিকা দিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। মঙ্গলবার স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের আওতায় থাকা প্রাথমিক স্কুলগুলির জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ডেঙ্গি সচেতনতা শিবির করতে হবে প্রত্যেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আগামী ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এই সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধা শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষককে। সেই সচেতনতা শিবিরের ভিডিয়ো তুলতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। গত কয়েক মাস ধরে ডেঙ্গির দাপট বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ডেঙ্গিতে বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ধরনের সচেতনতা শিবিরের পাশাপাশি কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছে শিক্ষা দফতর।
ওই আট নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুল ও স্কুল চত্বরকে পুরোপুরি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। স্কুলের আওতাধীন কোনও জায়গায় জল জমতে দেওয়া যাবে না। স্কুল কী ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হচ্ছে তার ভিডিয়ো তুলে রাখতে হবে। প্রত্যেক দিন ডেঙ্গি রোধে কী ব্যবস্থা করা হয়েছে তার পর্যালোচনা করতে হবে। এ ভাবেই মোট আটটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুলে আয়োজিত ডেঙ্গি সচেতনতা শিবিরে অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের তরফ থেকে একজন শিক্ষককে ডেঙ্গি প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানাতে হবে। ডেঙ্গি সচেতনতা নিয়ে শিক্ষা দফতর থেকে একটি সতর্কতামূলক ভিডিয়ো পাঠানো হয়েছে প্রত্যেকটি স্কুলে। প্রতি দিন নিয়ম করে প্রার্থনা সঙ্গীতের সময় সচেতনতামূলক ওই ভিডিয়োটি দেখাতে হবে। পাশাপাশি সচেতনতা শিবিরের দিনে স্কুলের ডেঙ্গি সংক্রান্ত একটি কুইজ়ের অনুষ্ঠান রাখতে বলা হয়েছে। কুইজ়ে সফল ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কৃত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, “অনেক আগেই এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। কারণ বৃষ্টিপাতের মরসুমে ডেঙ্গির প্রবণতা বেড়েছে। এখন উৎসবের মরসুমের মাঝে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে এই নির্দেশিকা দিয়ে কতটা লাভ হবে তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই।” তবে তৃণমূল সমর্থিত প্রাথমিক শিক্ষকদের ইউনিয়ন এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। তৃণমূল সর্মথিত ইউনিয়নের সভাপতি অশোক রুদ্র বলেছেন, “ডেঙ্গি রুখতে শিক্ষা দফতর উচিত সময়তেই পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা দফতরের পদক্ষেপের সমালোচনা না করে সমগ্র শিক্ষক তথা শিক্ষাকর্মী সংগঠনগুলির উচিত হবে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy