Advertisement
E-Paper

‘কালীঘাটের কাকু’র মেয়ে, জামাইয়ের ভবানীপুরের ফ্ল্যাটে ইডি হানা, তল্লাশি আরও দু’টি জায়গায়

ভবানীপুরের লি রোডের যে আবাসনে হানা দিয়েছে ইডি, সেখানে নিয়োগকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মেয়ে পারমিতা এবং জামাই দেবরূপ চট্টোপাধ্যায় থাকেন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৩ ১২:৩৪
Share
Save

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার সকালে কলকাতা এবং সংলগ্ন তিনটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাল ইডি। তার মধ্যে রয়েছে ভবানীপুর এবং নিউ আলিপুরের ঠিকানা। ভবানীপুরের লি রোডের যে আবাসনে হানা দিয়েছে ইডি, সেখানে নিয়োগকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মেয়ে পারমিতা চট্টোপাধ্যায় এবং জামাই দেবরূপ চট্টোপাধ্যায় থাকেন। ইডি সূত্রে খবর, সুজয়ের মেয়ে, জামাইয়ের ফ্ল্যাটেই হানা দেওয়া হয়েছে। আর নিউ আলিপুরের যেখানে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে, সেটি একটি সংস্থার অফিস। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, সেই সংস্থার ‘নিয়ন্ত্রকের’ ভূমিকায় ছিলেন সুজয়। তৃতীয় ঠিকানাটি হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর-২ ব্লকের সাঁজুয়া। সেই ঠিকানার সংস্থাটির সঙ্গেও সুজয়-যোগ রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের ওই সূত্রের।

কলকাতার নগর দায়রা আদালতে পেশ করা চার্জশিটে ইডি দাবি করেছিল, কালো টাকা সাদা করতে মেয়ে এবং জামাইকেও ব্যবহার করেছিলেন সুজয়। ১২৬ পাতার চার্জশিটের ৮৩ নম্বর পাতায় বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের নির্দেশে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কলকাতার ভবানীপুরে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন দেবরূপ চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এই দেবরূপ হলেন সুজয়কৃষ্ণের মেয়ে পারমিতা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাটটি কিনতে জামাইকে দিবাকর খেমকা নামের এক ব্যক্তি এবং তাঁর অধীনস্থ সংস্থার কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। ইডির দাবি, ‘ওয়েলথ উইজার্ড’ নামের একটি সংস্থার কাছ থেকে আরও ৪৫ লক্ষ টাকা ঋণের বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। ইডির দাবি, এই সংস্থাটি সুজয়কৃষ্ণের অধীনস্থ। চার্জশিটেও সংস্থাটিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, তার তদন্তেই সুজয়ের মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটে এই হানা। দাবি, যে টাকা দিয়ে ফ্ল্যাটটি কেনা হয়েছে, তা ‘দুর্নীতি’র টাকা।

যদিও তদন্তকারীদের সূত্রেই জানা গিয়েছিল, সুজয় বা তাঁর জামাইকে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন দিবাকর। ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, দেবরূপ একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে নতুন ফ্ল্যাটের টাকা মিটিয়েছিলেন। অন্য দিকে, সুজয়কৃষ্ণ একটি সরকারি ব্যাঙ্কে ওই সংস্থা থেকে ঋণবাবদ নেওয়া টাকা জমা করেছিলেন। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাট কিনতে তিনি যে সুজয়কৃষ্ণের সহায়তা পেয়েছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন জামাই দেবরূপ।

Recruitment Case Sujay Krishna Bhadra

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}