দ্রুত গতিতে ছুটছিল কালো রঙের একটি এসইউভি। ভিতরে বসা এক যুবক চিৎকার করছিলেন আর বলছিলেন, ‘আরও এক বার হয়ে যাক’! তার পরই একের পর পথচারীকে ধাক্কা মারতে মারতে বেপরোয়া গতিতে এগিয়ে গেল গাড়িটি। কিছুটা দূর যেতেই আবারও ধাক্কা। এ বার স্কুটিচালক এক মহিলাকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। মহিলা ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
বৃহস্পতিবার রাতে এমনই ঘটনায় শিউরে উঠেছে গুজরাতের বরোদার করেলিবাগ এলাকা। আম্রপালি চার রাস্তার মোড়ের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, রাত তখন ৯টা। একটি কালো রঙের এসইউভি দুরন্ত গতিতে আসছিল। চার রাস্তার মোড় এমনিতেই ব্যস্ত। গাড়িটি সেই মোড়ের কাছে গতি আরও বাড়িয়ে দেয়। সেই সময় অনেকেই রাস্তা পারাপার করছিলেন। গাড়িটি সজোরে একের পর পর পথচারীদের ধাক্কা মারে। তাদের মধ্যে এক জন শিশুও রয়েছে। গাড়ির ধাক্কায় কয়েক ফুট দূরে ছিটকে পড়েন পথচারীরা। এই ঘটনায় এলাকায় হুলস্থুল পড়ে যায়।
গাড়িটিকে ধরার আগেই চালক আরও গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যান। কিছুটা দূরে আবার ধাক্কা মারেন এক মহিলাকে। রাস্তার ধার ধরেই যাচ্ছিলেন মহিলা। পিছন থেকে এসে সজোরে ধাক্কা মারতেই শূন্যে উঠে রাস্তায় আছড়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয়েরা গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়েই পুলিশ গাড়ির অবস্থান চিহ্নিত করে সেটিকে ধাওয়া করে ধরে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িতে দুই যুবক ছিলেন। এক জনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। সেই সূত্রে বরোদায় থাকেন। তাঁর নাম রক্ষিত রবীশ চৌরাসিয়া। দ্বিতীয় যুবক বরোদারই বাসিন্দা। গাড়িটি তাঁরই। চালকের আসনে ছিলেন রক্ষিত। দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটিকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম হেমালিবেন পটেল। আহতেরা হলেন, জৈনি, নিশাবেন, ১০ বছরের একটি শিশু এবং আরও এক যুবক। এই দু’জনের পরিচয় জানা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।