নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার, সেই মামলারই শুনানিতে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে শান্তনুর আইনজীবীর প্রশ্নের মুখে পড়ল তদন্তকারী সংস্থা। পাল্টা, ধৈর্য ধরার পরামর্শ ইডির আইনজীবীর। ইডির দাবি, তারা তদন্ত চালিয়ে শান্তনুর ১৫টি সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তভার ইডির হাতে এসেছে বেশ কিছু দিন আগেই। এ বার সেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুললেন জেলবন্দি শান্তনুর আইনজীবী। বুধবার, আদালতে জামিনের আবেদন করেননি শান্তনুর আইনজীবী। তার বদলে ইডির তদন্ত নিয়েই ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। তাঁর দাবি, ইডির তদন্তে নতুন কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। শান্তনুর আইনজীবী আদালতে শ্লেষাত্মক ভাবে বলেন, ‘‘ইডি যে ভাবে কাজ করছে খুব ভাল লাগছে। খুবই ভাল!’’
শান্তনুর আইনজীবীর খোঁচা হজম করে ইডির আইনজীবী আদালতকে জানান, এখনও পর্যন্ত তদন্তে শান্তনুর ১৫টি সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। এ ছাড়াও একটি নির্মাণ সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল বলেও দাবি ইডির আইনজীবীর। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এর পর বলেন, ‘‘ধৈর্য সকল গুণের জননী। ধৈর্যের স্বাদ হয়তো তেতো, কিন্তু ফল মিষ্টি। তদন্তে তাড়াহুড়ো করলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চাপা পড়ে যেতে পারে।’’
গত ১০ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন হুগলির প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের কর্মী শান্তনু কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক বলে দাবি করে ইডি। ইডির অভিযোগ, সরকারি চাকরি বিক্রি করেই এত টাকা আয় করছেন শান্তনু। ধৃত শান্তনুর পিছনে কে বা কারা ছিলেন, চাকরি বিক্রি করার টাকা শান্তনুর কাছ থেকে কোন হাতে জমা হত, তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে ইডি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তদন্তের যা গতিপ্রকৃতি, তাতে খুশি নন শান্তনু। বুধবার এজলাসে দাঁড়িয়ে শ্লেষাত্মক ভঙ্গিতে তাঁর আইনজীবীর করা মন্তব্যেই তা স্পষ্ট। এই প্রেক্ষিতেই ইডির আইনজীবীর ধৈর্য ধরার পরামর্শের মধ্যেও তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে।