প্রতীকী ছবি
ওঁরা প্রত্যেকেই এমবিবিএস ডাক্তার। তার পর ইন্দিরা গাঁধী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (ইগনু) থেকে ক্লিনিক্যাল কার্ডিয়োলজির দু’বছরের ডিপ্লোমা পাশ করেছেন। এই মুহূর্তে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এই ডিপ্লোমাকে মেনে না নেওয়ায় ওঁদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। সমস্যায় পড়া প্রায় ১৮০০ ক্লিনিক্যাল কার্ডিয়োলজিস্টের মধ্যে প্রায় ১৬০ জন পশ্চিমবঙ্গের।
২০০৬ সালে এই ডিপ্লোমার পঠনপাঠন শুরু হয়েছিল ইগনুতে। দেশের ৭৭টি হাসপাতাল, যেখানে আগেই এমসিআই অনুমোদিত কার্ডিয়োলজি কোর্স পড়ানো হত, সেখানেই ইগনু-র এই পাঠ্যক্রমের ক্লাস হত। এর মধ্যে কলকাতার অ্যাপোলো, আরএন টেগোর হাসপাতাল, বিএম বিড়লার মতো হাসপাতালও রয়েছে। সমস্যা হল, এই কোর্স চালুর আগে এমসিআইয়ের অনুমোদন নেওয়া হয়নি এবং কোর্স চালুর এক বছর পরেও এমসিআইয়ের আইনানুযায়ী পাঠ্যক্রমের মূল্যায়ন হয়নি। এই নিয়ে বিতর্কে ২০১৩ সালে কোর্সটি বন্ধ হয়ে যায়। শেষ ব্যাচ পাশ করে ২০১৫ সালে। এর পরেই পাঠ্যক্রমের অনুমোদনের দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ক্লিনিক্যাল কার্ডিয়োলজিস্টদের সর্বভারতীয় সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল কার্ডিয়োলজিস্টস।’ কিন্তু অতি সম্প্রতি এমসিআই-এর বোর্ড অব গভর্নর্স জানিয়ে দিয়েছে, এই চিকিৎসকদের ইগনু-র ডিপ্লোমা তারা অনুমোদন করছে না।
ইগনু-র ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকেরা এত দিন হৃদরোগের ইমার্জেন্সি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া, হৃদরোগীকে সিসিইউ-তে দেখাশোনা, ইকোকার্ডিয়োগ্রাফি-হল্টার বা ইসিজি-র মতো পরীক্ষা সবই করেছেন। অনেকে কার্ডিয়াক সার্জনের সহযোগী হিসেবে অপারেশন থিয়েটারে থাকেন। গত সেপ্টেম্বরে আদালত বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারকে দেখতে বলে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করার পরে এমসিআই জানিয়েছে, তারা ওই ডিপ্লোমাকে অনুমোদন দেবে না। এমসিআইয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের চেয়ারম্যান বিনোদকুমার পল ফোনে বলেন, ‘‘এই চিকিৎসকেরা হৃদরোগের চিকিৎসা করলে সেটা পুরোপুরি অবৈধ হবে এবং ধরা পড়লে শাস্তি পেতে হবে।’’ এই চিকিৎসকদের সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজেশ রাজন পাল্টা বলেন, ‘‘আমরা তো নিজেদের কার্ডিয়োলজিস্ট বলে দাবি করছি না। আমরা নামের নীচে স্পষ্ট করে ডিপ্লোমা লিখছি। ইগনু-র কোর্স ইউজিসি অনুমোদিত। প্রথিতযশা চিকিৎসকেরা এই কোর্স তৈরি করেছেন। ফলে আমরা ইকোকার্ডিওগ্রাফি এবং হৃদরোগীদের পরামর্শ দেওয়ার কাজ করতেই পারি।’’ সংগঠনের কলকাতা শাখার অধিকাংশ চিকিৎসকও জানিয়েছেন, তাঁরা যেমন কাজ করছেন তেমনই চালিয়ে যাবেন। ইগনু-র স্কুল অব হেলথ সার্ভিসের ডিরেক্টর তপনকুমার জেনার কথায়, ‘‘আমরা মানছি যে, এমসিআইয়ের অনুমতি না নিয়ে কোর্স চালু করাটা একটু ভুল হয়েছিল। তবে দেরিতে হলেও আমরা ২০১২ সালে অনুমোদন চেয়েছিলাম। ওরা দেয়নি। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও এমসিআইকে রোগীদের স্বার্থে বিষয়টি বিবেচনা করতে বলে চিঠি দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy