দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র
গত লোকসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের থেকে ৫৬৭৬২ ভোট বেশি পেয়েছিল। মঙ্গলবার বিজেপির কর্মিসভায় মাঠে একেবারেই তার প্রতিফলন দেখা গেল না।
দলীয় নেতা ও কর্মীদের ভিড় উপচে পড়বে বলে আশা করেছিলেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা নেতৃত্ব। এই সভার প্রধান আকর্ষণ ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। সেইজন্য, অনেকটাই ভিড় হবে ভেবে কর্মিসভা আয়োজনের জন্য মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ শহরের হাসপাতাল পাড়া এলাকার ত্রিধারা ক্লাবের বড় মাঠটি বাছাই করা হয়। কিন্তু এ দিন বিজেপির কর্মিসভা চলাকালীন ওই মাঠের প্রায় অর্ধেক অংশই ফাঁকা ছিল বলে দলের কর্মীরাই জানিয়েছেন।
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকারের সমর্থনে এ দিন ওই মাঠে নির্বাচনী কর্মিসভার আয়োজন করে বিজেপি। কর্মিসভায় ওই বিধানসভা কেন্দ্রের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৭০টি বুথের বিজেপির নেতা-কর্মীরা সামিল হয়েছিলেন। সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ প্রমুখ। ছিলেন স্থানীয় স্তরের নেতারাও।
দলের অন্দরের খবর, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ কর্মিসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মাঠ না ভরায় দুপুর ২টো নাগাদ সভা শুরু হয়। এরপর একঘণ্টার মধ্যে দিলীপ, দেবশ্রী ও রাহুল তাঁদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করে মাঠ ছাড়েন। পুলিশের দাবি, ওই মাঠে ১৫ হাজারেরও বেশি লোক জমায়েত করতে পারেন। কিন্তু তিন হাজারের বেশি লোক হয়নি। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, এ দিনের কর্মিসভায় প্রায় ১০ হাজার লোকের ভিড় হয়েছিল।
দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর দাবি, ‘‘এ দিনের কর্মিসভায় প্রতিটি বুথ থেকে বাছাই করা নেতা ও কর্মীদের সামিল করানো হয়। তাই মাঠ না ভরারই কথা। তৃণমূল অপপ্রচার চালাচ্ছে।’’
যদিও এ দিনের কর্মিসভায় দিলীপের বক্তব্যেই মাঠ না ভরার হতাশা স্পষ্ট হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি। কর্মিসভায় দলীয় বিজেপির নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশে দিলীপ বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রায় ৫৭ হাজার ভোট লিড পেয়েছে। এটা নিয়ে দলীয় নেতা ও কর্মীদের খুশি হওয়া বা আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। এই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিটি মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব ও অভিযোগ শুনুন। মনে রাখবেন জয় কিন্তু অত সহজ নয়।’’
কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষের দাবি, ‘‘এ দিনের কর্মিসভার মাঠে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের বসার জন্য বাঁশ দিয়ে ছয়টি পৃথক এলাকা করা হয়েছিল। তার মধ্যে তিনটি এলাকাই ফাঁকা ছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এনআরসি ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতিবাদে কালিয়াগঞ্জের সাধারণ মানুষ বিজেপির উপর ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাই এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতির কর্মিসভায় মাঠের অর্ধেক অংশ ভরেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy