ফের স্বমহিমায় দিব্যেন্দু।
ফের স্বমহিমায় দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি পরিচালিত ‘হলদিয়া রিফাইনারি টাউনশিপ মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’-এর সভাপতি পদে ফিরলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১৯ অগস্ট আইওসির হলদিয়া টাউনশিপের রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সভায় সদস্যদের অনেকে অভিযোগ করেন, সাংসদ কাঁথিতে বসে হলদিয়ার ভাল-মন্দের খবর রাখতে পারছেন না। বিপদে-আপদে পড়লে কার্যকরী সভাপতির কাছে ছুটে যেতে হচ্ছে। এর পরেই সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় দিব্যেন্দুকে। সংখ্যাগরিষ্ঠের মত মেনেই সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি তথা হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ মণ্ডকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
যদিও দিব্যেন্দুওর দাবি ছিল, ‘‘সভাপতিকে না জানিয়েই ওই সভা হয়েছে— যা শ্রম আইন বিরোধী, অবৈধ। দলের ট্রেড ইউনিয়নের ঊর্দ্ধতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’ সংগঠনের নতুন সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডলকে ‘প্রতারক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে ওই বৈঠকের কোনও বৈধতা নেই বলে দাবি করেন আইএনটিটিএইসি-র পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কার্যকরী সভাপতি শিবনাথ সরকারও। তাঁর মতে, ‘‘এই বৈঠক অবৈধ। দলের নির্দেশিকা না মেনে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে।’’
জেলায় দলের সাংগঠনিক রদবদলে শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষমতা ‘খর্ব’ করা নিয়ে দলের একাংশের ক্ষোভ এবং তারপর দিব্যেন্দু অধিকারীর এই অপসারণে জেলায় অধিকারী পরিবারের দাপট কমা নিয়ে জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। তবে ঘটনার পর দিন চারেক কাটতে না কাটতেই ফের ‘হলদিয়া রিফাইনারি টাউনশিপ মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’-এর সভাপতি পদে ফিরেয়ে আনা হল দিব্যেন্দুকে। জানা গিয়েছে, জেলা নেতৃত্বের তরপেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা আইএনটিটিইউসি কার্যকরী সভাপতি শিবনাথ সরকারের দাবি, ‘‘অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সভাপতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সে জন্যই জেলা নেতৃত্ব ফের সভাপতি পদে পুনর্বহাল করেছেন দিব্যেন্দুকে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেবপ্রসাদ মণ্ডলকে।’’ যদিও কার্যকরী সভাপতির এই দাবি মানতে নারাজ দেবপ্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘আইএনটিটিইউসির নিয়মনীতি এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনেই সংখ্যাগরিষ্ঠের মতে সভাপতি বদল হয়েছিল। রাজ্য নেতৃত্বকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে সভাপতি বদল নিয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।’’
এই অবস্থায় সংগঠনের সভাপতি পদে কে তা নিয়ে দোলাচলে সদস্যরা। যদিও সংগঠনের এক সদস্য বলেন, ‘‘আগে আমাদের কোনও সমস্যা হলে দিব্যেন্দু অধিকারীকে পাশে পাওয়া যেত না। বাধ্য হয়ে দেবপ্রসাদ মণ্ডলের কাছে যেতাম। তাই উনি সভাপতি হওয়ায় সুবিধঝা হয়েছিল। কিন্তু এখন শুনছি ফের দিব্যেন্দুবাবুকেই সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ফলে আমাদের সমস্যা থেকেই গেল। দলের পক্ষ থেকেও আমাদের কথা ভাবা হল না।’’
আর পদ ফিরে পেয়ে কী বলছেন দিব্যেন্দু?
এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমি ওই সংগঠনের সভাপতি ছিলাম এবং আছিও। তাই পুনর্বহালের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy