২২ গজ ছাড়
ডানকুনি স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠ ভরিয়ে দিল সিপিএম। মাঠ ছাপিয়ে ভিড় ছড়িয়ে গেল ডান দিকে-বাঁ দিকে প্রায় এক কিলোমিটার। কিন্তু মাঠের ভিতরে ২২ গজ ফাঁকা রাখা হল। ডানকুনি স্পোর্টিং মাঠে ক্রিকেট খেলা হয়। পিচ যাতে নষ্ট না হয় সে কারণে ওই অংশটি লাল কাপড় দিয়ে ঘিরে দিয়েছিল সিপিএম। তবে সিপিএম নেতারা বলছেন, রাজনীতির ২২ গজ তাঁরা ছাড়বেন না।

সমাবেশে ছিল দলিত সাহিত্য এবং দলিত আন্দোলনের পৃথক পুস্তকবিপণি। ছবি: শোভন চক্রবর্তী।
মতুয়া পুস্তিকা
রাজ্য সম্মেলন শেষে মঙ্গলবার ছিল সিপিএমের প্রকাশ্য সমাবেশ। সেখানেই দলিত সাহিত্য এবং দলিত আন্দোলনের পৃথক পুস্তকবিপণি দেখা গেল। উদ্যোগে সামাজিক ন্যায়বিচার মঞ্চ। সেই স্টলে যেমন ছিল বাবাসাহেব অম্বেডকরকে নিয়ে রচনা, তেমনই ছিল মতুয়া আন্দোলনের ইতিহাস। একটা সময়ে মতুয়াদের মধ্যে বামেদের আধিপত্য থাকলেও ২০০৮ থেকে তা তৃণমূলের দখলে চলে যায়। আবার ২০১৯ থেকে পদ্ম ফুটছে মতুয়াভূমে।
পুলিশের অনুরোধ
প্রকাশ্য সমাবেশে তখন সবেমাত্র দেবলীনা হেমব্রমের বক্তৃতা চলছে। তারই মধ্যে সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষের কাছে বার্তা এল পুলিশের তরফে। বলা হল, আপনারা ঘোষণা করে দিন, মাঠে আর লোক ধরবে না। আরও যাঁরা আসছেন তাঁরা যেন রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে পড়েন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিপিএমও ঘোষণা করল, ‘‘কমরেড, আপনারা দাঁড়িয়ে পড়ুন। আর মাঠের দিকে আসবেন না।’’ দীর্ঘ পথে লাগানো ছিল লাউডস্পিকার। ফলে বক্তৃতা শুনতে কারও অসুবিধা হয়নি।
আরও পড়ুন:
মিনাক্ষীই মুখ
সম্মেলন উপলক্ষে সিপিএম ডানকুনির নাম দিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নগর। বুদ্ধনগরের সমাবেশে ছবি দেখা গেল একমাত্র যুবনেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়েরই। বড় কাটআউট। যার উপরে লেখা ‘বাংলার ক্যাপ্টেন’। তাঁর বক্তৃতার পরেই ফাঁকা হতে শুরু করে মাঠ। আরও এক বার সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা বুঝিয়ে দিলেন, মিনাক্ষীই এখন তাঁদের কাছে ‘মুখ’।

বুদ্ধনগরের সমাবেশে ছবি দেখা গেল একমাত্র যুবনেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়েরই। ছবি: শোভন চক্রবর্তী।
ড্রোনাচার্য
জমায়েতের প্রচারে সক্রিয়তা দেখাল সিপিএম ডিজিটাল টিম। একাধিক ক্যামেরার পাশাপাশি আকাশে উড়ল ড্রোনও। পাখির চোখে ধরা পড়ল ঠাসা জমায়েতের ছবি। ড্রোনই হয়ে উঠল জমায়েতের ছবি প্রচারের আচার্য।

জমায়েতের উপরে আকাশে উড়ল ড্রোনও। ছবি: শোভন চক্রবর্তী।
(শোভন চক্রবর্তী)