মরসুমি নানা ধরনের ফলের মধ্যে আজকাল বাজারে প্রায় সময়েই ড্রাগন ফলের দেখা মেলে। যদিও এই ফলের আদি বাসস্থান মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাসের মতো দেশ। তবে মানুষের চাহিদার কথা ভেবেই এখন এ রাজ্যেও ড্রাগন ফ্রুট চাষ করা হচ্ছে। ব্যবসায়িক ভাবে তা যথেষ্ট লাভজনকও। কিন্তু বাড়ির ছাদে কিংবা শখের বাগানে যদি ড্রাগন ফ্রুট গাছ বসাতে চান, সে ক্ষেত্রে কী করতে হবে? গাছ বসানো আগে কী কী জেনে রাখা প্রয়োজন?
আরও পড়ুন:
কোন সময় উপযুক্ত?
গরম আসার সময়টা ড্রাগন ফ্রুট চাষ করার উপযুক্ত সময়। কারণ, এই গাছ রোদ পছন্দ করে। দিনে অন্ততপক্ষে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা সূর্যালোক পেলে গাছ তরতরিয়ে বেড়ে ওঠে।
গাছ বসানোর জন্য সঠিক পাত্র চাই:
গাছ বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা প্রয়োজন। একটি টবে একটি করে গাছ রাখতে পারলেই ভাল হয়। এমন পাত্র বেছে নিতে হবে যাতে গাছে শিকড় নিজের মতো করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে পারে।
কেমন মাটিতে গাছ বেড়ে উঠবে?
ড্রাগন ফ্রুটের জন্য উপযুক্ত তৈরি মাটি পাওয়া মুশকিল। তবে আলাদা করে তা তৈরি করে নিতে পারলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তার জন্য ৪০ শতাংশ মাটি, ১০ শতাংশ বালি, ৩০ শতাংশ কোকোপিট এবং ২০ শতাংশ কম্পোস্ট সার— এই মিশ্রণে ড্রাগন ফ্রুট গাছ তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে।
গাছ বসানোর কায়দা?
মাটি তো তৈরি হল। এ বার গাছ বসানোর কায়দাও জেনে নেওয়া প্রয়োজন। ড্রাগন ফলের বীজ থেকে গাছ তৈরি করা বেশ সময়সাপেক্ষ কাজ। তবে গাছের ডাল কেটে তা থেকে সহজেই নতুন গাছ তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক একটি গাছ থেকে ১২-১৫ ইঞ্চি লম্বা একটি ডাল কেটে নিয়ে সেটি মাটিতে পুঁতে দিন। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে গাছটি বেড়ে উঠবে।
আরও পড়ুন:
শক্তপোক্ত অবলম্বন চাই:
ড্রাগন ফ্রুট গাছ ক্যাকটাস-জাতীয়। তার ডালপালা খুব একটা মজবুত নয়। তাই বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গাছ যাতে হেলে না পড়ে সে দিকেও নজর দিতে হবে। গাছ লাগোয়া শক্তপোক্ত খুঁটি রাখতে পারলে ভাল হয়।
জল আর রোদই আসল খাবার:
ক্যাকটাস-জাতীয় গাছ জল ছাড়া বহুদিন বাঁচতে পারে। ড্রাগন ফ্রুট গাছের ক্ষেত্রেও নিয়মটা এক। সারা দিনে একবার জল দিলেই চলবে। তবে পর্যাপ্ত রোদ যেন পায়, সে দিকে নজর রাখতে হবে।
মাঝেমধ্যে সার দেওয়া যায়:
ড্রাগন ফ্রুট গাছে তরল সার দেওয়াই ভাল। সব্জির খোসা, ডিমের খোলা, চা পাতা পচিয়ে বাড়িতেই ‘অর্গানিক’ কম্পোস্ট সার তৈরি করে ফেলতে পারেন। তাতেই গাছ ফুলে, ফলে ভরে উঠবে।