নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলার রক্তচাপ কমেছে। তাঁর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কম। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ির এই নির্যাতিতার সারা শরীরেই আঘাতের নানা চিহ্ন রয়েছে। তার বেশ কয়েকটি খুবই গুরুতর। কোথাও রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকারের অবশ্য মন্তব্য, ‘‘ধূপগুড়ির নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’’ অবস্থার আরও উন্নতি হলে তাঁর কাউন্সেলিংও করানো হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। তাঁর স্বামী উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছেন। তাঁর কোলের মেয়েও এখনও হাসপাতালেই।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার যে আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে ঠান্ডা মাথাতেই অপরাধ কবুল করেছে। কী ভাবে সে ওই মহিলাকে নির্যাতন করেছে, তা-ও জানিয়েছে। তবে ওই যুবকের স্ত্রী তাঁর স্বামীকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই মহিলাকে আমার স্বামী ‘বড় মা’ বলে ডাকেন। হয়তো কথা কাটাকাটিতে রাগের মাথায় তাঁকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছেন আমার স্বামী। কিন্তু আমার বিশ্বাস, তিনি তাকে ধর্ষণ করেননি।’’ তবে পুলিশের দাবি, ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকেই প্রচণ্ড নির্যাতন করা হয়েছে ওই মহিলাকে।
বুধবার ধৃত দু’জনকে আবার আদালতে তোলা হবে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ওই গ্রাম রবিবার থেকেই বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে ভুগছে। কেউ বলছেন, মহিলার আত্মীয় অভিযুক্ত যুবক এমন দুষ্কর্ম করতে পারেন, কিন্তু তার সঙ্গে যাকে ধরা হয়েছে তিনি নিরীহ লোক। তাঁর চার কন্যা সন্তান। তাঁর স্ত্রীও কান্নাকাটি করছেন। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘ওই মহিলা যে দু’জনের নাম পুলিশকে বলেছেন, তাদেরই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এক্ষেত্রে পুলিশ আগ বাড়িয়ে কিছুই করতে পারবে না। তবে ওই মহিলাকে বুধবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তোলার কথা। গোপন জবানবন্দিতে তিনি যা বলবেন, সেটিই চূড়ান্ত ধরা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy