Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

টাকা না পেয়ে এজেন্টের দোকানে বন্ধের নোটিস

টাকা ফেরত না দিতে পারায় একটি অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টের দু’টি দোকান বাঁশ দিয়ে ঘিরে বন্ধের নোটিস ঝুলিয়ে দিলেন বেশ কিছু আমানতকারী। বাদল দাস নামে কাকদ্বীপের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের ওই এজেন্ট আপাতত সপরিবার ঘরছাড়া। ক’দিন আগে তাঁকে মারধরও করা হয়েছিল বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। ইডি এবং সিবিআইয়ের সৌজন্যে সারদা-কাণ্ডের তদন্তে গতি আসতেই বিভিন্ন লগ্নি সংস্থার আমানতকারীদের একটা বড় অংশ মনে বল পেয়েছেন।

কাকদ্বীপে ছবি তুলেছেন দিলীপ নস্কর।

কাকদ্বীপে ছবি তুলেছেন দিলীপ নস্কর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৪ ০৩:২৮
Share: Save:

টাকা ফেরত না দিতে পারায় একটি অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টের দু’টি দোকান বাঁশ দিয়ে ঘিরে বন্ধের নোটিস ঝুলিয়ে দিলেন বেশ কিছু আমানতকারী। বাদল দাস নামে কাকদ্বীপের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের ওই এজেন্ট আপাতত সপরিবার ঘরছাড়া। ক’দিন আগে তাঁকে মারধরও করা হয়েছিল বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।

ইডি এবং সিবিআইয়ের সৌজন্যে সারদা-কাণ্ডের তদন্তে গতি আসতেই বিভিন্ন লগ্নি সংস্থার আমানতকারীদের একটা বড় অংশ মনে বল পেয়েছেন। খোয়া যাওয়া টাকা আদায়ের জন্য নতুন করে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের। গত শনিবারই উত্তর ২৪ পরগনার বেড়াচাঁপায় এক এজেন্টের বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে বাদলবাবুর চায়ের দোকান এবং বাসমোড়ে মুদির দোকান বাঁশ দিয়ে ঘিরে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বাদলবাবুর এক বিঘে জমি আছে । ২০১০ সাল থেকে তিনি একটি লগ্নি সংস্থার এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে শুরু করেছিলেন। কাকদ্বীপে তাদের অফিস ছিল। গত বছর সারদা-কাণ্ডের পরেই এপ্রিলে সেটির ঝাঁপ পড়ে যায়। বাদলবাবুর দাবি, এর পর থেকেই টাকা ফেরত চেয়ে আমানতকারীরা তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন। মাস ছয়েক আগে এই নিয়ে একটি বৈঠকও হয়। সেখানে ঠিক হয়, এপ্রিলের মধ্যে জমি বিক্রি করে তিনি টাকা ফেরত দেবেন। কিন্তু বাজারদর অনুযায়ী ভাল দাম না পাওয়ায় তিনি জমি বিক্রি করেননি।

বাদলবাবুর অভিযোগ, বেশ কয়েক দিন ধরেই তাঁকে হুমকি দিচ্ছিলেন কিছু আমানতকারী। গত বুধবার চায়ের দোকান থেকে তুলে নিয়ে তাঁকে মারধরও করা হয়। এই পরে স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে তিনি আত্মগোপন করেন। রবিবার রাতে তাঁর দু’টি দোকান বাঁশ দিয়ে ঘিরে ৯০ জনের স্বাক্ষর সংবলিত নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে, টাকা না দিলে দোকান খুলতে দেওয়া হবে না। তবে নির্দিষ্ট কারও নামে অভিযোগ জানাননি তিনি। কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক অমিত নাথ বলেন, “আমি পুলিশকে পদক্ষেপ করতে বলেছি।” পুলিশ জানায়, দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে সুরাহার চেষ্টা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

kakdwip dilip naskar sarada
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE