তাপপ্রবাহের ঠেলায় রাজ্যে (সিইএসসি এলাকা বাদ দিয়ে) বিদ্যুতের চাহিদা ৬০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেল। আবহাওয়ার পরিস্থিতি যা, তাতে তাপপ্রবাহ এই ভাবে চলতে থাকলে বিদ্যুতের চাহিদা এপ্রিলেই সাড়ে ৬০০০ মেগাওয়াটে গিয়ে দাঁড়াবে বলে রাজ্যের বিদ্যুৎ কর্তারা মনে করছেন। ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিন রাজ্যের তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকলেও বিদ্যুতের চাহিদা ৬০২০ মেগাওয়াটে গিয়ে ঠেকেছে। পয়লা এপ্রিল যেখানে রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৫৫০০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ গত দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ৫০০ মেগাওয়াট বেড়ে গিয়েছে।
এ বছর মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে তাপমাত্রা হঠাৎ বাড়তে শুরু করে। শীতের আমেজ ফেব্রুয়ারিতেই কেটে গিয়েছিল। তবুও বসন্তের বাতাসে কিছুটা হলেও আরামে ছিল রাজ্যের মানুষ। কিন্তু সে সুখ বেশি দিন টেকেনি। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই গরম বাতাসের সঙ্গে সূর্যের তাপে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছিল। পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাবে মার্চ মাসেও প্রতি সপ্তাহেই বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হয়েছে। পয়লা মার্চ যেখানে রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৫১০০ মেগাওয়াট, ১৪ মার্চ সেই চাহিদা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৫৬০০ মেগাওয়াটে। অর্থাৎ মার্চ মাসের প্রথম দু’সপ্তাহেও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছিল ৫০০ মেগাওয়াট। এপ্রিলেও তা-ই হয়েছে।
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, বিদ্যুতের চাহিদা যত বাড়ছে রাজ্যের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের উৎপাদন ক্ষমতা ৩৬০০ মেগাওয়াটের উপরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাপপ্রবাহ এই ভাবে চলতে থাকলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির উৎপাদন একই ভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে নিগম কর্তারা জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির কয়লা মজুতও বাড়ানো হচ্ছে। নিগমের দাবি, প্রতিটি কেন্দ্রেই প্রচুর পরিমাণে কয়লা মজুত রয়েছে। ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহ টানা এই ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যেতে হলেও কয়লার কোনও অভাব হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy