ছবি: পিটিআই
বোন যে সমস্যায় রয়েছে তা বুঝতে পারেননি দাদা। শেষ বার ফোনে বোনের সঙ্গে কথা হয়েছিল মাস ছয়েক আগে। তার পর আর যোগাযোগ নেই। শুক্রবার এমনই দাবি করলেন, রাজধানীতে অনাহারে মৃত তিন শিশুকন্যার মামা রতন সিংহ।
রতনবাবুর বা়ড়ি সাঁকরাইল ব্লকের আঁধারি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর কাটমুণ্ডি গ্রামে। তিন ভাই। দুই বোন। বীণা সব চেয়ে ছোট। রতনবাবুর দাবি, ২০০৮ সালে এক ঘটকের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের মথুরার বাসিন্দা মঙ্গলের সঙ্গে বিয়ে হয় বীণার। বিয়ের পরে দু’জনেই দিল্লি গিয়েছিল। পুলিশের মতে, অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগেই মারা গিয়েছে মঙ্গল-বীণার তিন শিশুকন্যা। এ নিয়ে হইচই হলেও সে খবর পৌঁছয়নি প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা রতনবাবুদের কাছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের কাছে খবর আসে, আঁধারি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর কাটমুণ্ডি গ্রামেই বীণার বাপের বা়ড়ি। জেলাশাসক আয়েষা রানির নির্দেশে সাঁকরাইলের বিডিও মিঠুন মজুমদার পৌঁছন ওই গ্রামে। বিডিওকে রতনবাবু জানান, ২০১২ সালে বোন ও ভগ্নীপতি শেষ এসেছিল গ্রামের বাড়িতে। সঙ্গে তাদের বড় মেয়েও ছিল। তবে বোনের মানসিক সমস্যা ছিল না বলেই দাবি তাঁর। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘বোন ভগ্নীপতির সঙ্গে মাঝে মাঝেই ফোনে কথা হত। ওরা বলত ভাল আছে। মাস ছয়েক আগে শেষ কথা হয়েছিল। বোনেরা যে এত খারাপ অবস্থায় রয়েছে, তা বুঝিনি।’’
এখন বোনের পাশে দাঁড়াবেন? রতনবাবুর কথায়, ‘‘আমাদের পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। প্রশাসনের উদ্যোগে বোনকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে ভাল হয়।” আর জেলাশাসকের মন্তব্য, ‘‘বিডিও কাটমুণ্ডি গ্রামে গিয়েছিলেন। ওই মহিলাকে তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা বাড়ি নিয়ে আসতে চাইলে কিংবা পুনর্বাসনে সাহায্য চাইলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম সাহায্য করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy