মৃত পর্যটকের দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতায় নিয়ে আসায় হয়েছে।
দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ সিকিম থেকে নামিয়ে আনা হল শিলিগুড়িতে। তার পরে মঙ্গলবার পাঁচটি অ্যাম্বুল্যান্সে সেই দেহগুলো কলকাতা ও হুগলিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই পর্যটকদের বাড়ি সেখানেই।
রবিবার সিকিমে জওহরলাল নেহরু রোডে সাত মাইল এলাকায় গাড়ি খাদে পড়ে মারা যান কর ও বসু পরিবারের এই পাঁচ জন। ঘটনার পরে সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় সন্তুষ্ট তাঁরা। মৃত সন্দীপ করের জামাইবাবু সন্দীপ মিত্র বলেন, ‘‘আবহাওয়া খারাপ হয়েই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। কারও বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ নেই। দুর্ঘটনার পরে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দফতরে সাহায্যে আমরা কৃতজ্ঞ। পুলিশ, পর্যটন সংস্থা, সিকিম সরকার সকলেই খুব সাহায্য করেছে। আমরা খুশি।’’ দুর্ঘটনার পর থেকে মৃতের আত্মীয়দের সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে সমস্ত রকমের পরিষেবা দিয়েছে সিকিমের পর্যটন সংস্থা। দেহগুলি শিলিগুড়িতে পৌঁছনোর পর দুই পরিবারের মৃতদের আত্মীয়দের থাকা-খাওয়া এবং যাতায়াতের দায়িত্ব নেয় পর্যটন দফতর।
সদ্য পুত্রহারা আশিসবাবু তাঁর নাতি সূর্যাশিসকে সঙ্গে নিয়ে বিমানে কলকাতায় ফিরে যান। গাড়ি খাদে পড়ে যাওযার সময় মায়ের কোল থাকার কারণে বেঁচে গিয়েছে পাঁচ বছরের ওই শিশু। তার চোট খানিকটা থাকলেও সে এখন বিপন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। দুর্ঘটনায় আহত বসু পরিবারের পুত্রবধূ মহুয়া পাত্রের দুই পায়ের হাড়ই ভেঙেছে। তবে সিকিম হাসপাতালের এক্স-রে রিপোর্টে আসেনি বলে দাবি ওই পরিবারের। তাঁকে এখুনি কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা হয়। এদিনই মহুয়ার নতুন করে চিকিৎসা ও পরীক্ষানীরিক্ষা শুরু হয় শিলিগুড়িতে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দেহগুলি নিয়ে কলকাতা হুগলি পৌঁছতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য নবান্ন থেকেই অ্যাম্বুল্যান্সের যাত্রাপথের উপর নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy