অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ
যৌন নির্যাতন পরবর্তী ট্রমা এবং তার বিরুদ্ধে ক্রমাগত লড়াই এখনও, এই ২৩ বছর পরেও আমাকে জর্জরিত করে। আমি তখন ১৪ বছরের কিশোরী। তখন প্রায় এক মাস ধরে যে ভাবে পর পর আমার যৌন নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল, তার স্মৃতি এখনও প্রতিনিয়ত মনে পড়ে। বাজতে থাকে পিন কেটে যাওয়া রেকর্ডের মতো। বাইরে থেকে সব কিছুই স্বাভাবিক মনে হয়। আপনারা হয়তো ভাববেন, আমি আত্মবিশ্বাসী। বাকপটু। সিনিয়র মার্কেট ক্যাপিট্যাল আইনজীবী হিসেবে ভারত, লন্ডন, হংকংয়ের সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি। করছি। কিন্তু তার পরেও আমি জানি, কী ভয়ঙ্কর এক দৈত্যের মুখোমুখি হয়েছিলাম। এখনও তার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছি।
যৌন নির্যাতনের পরের অধ্যায় যেন এক পশুর সঙ্গে প্রতিনিয়ত বসবাস করা। যে পশু সময়ে সময়ে মাথা উঁচু করে ওঠে এবং কোনও সতর্কবার্তা ছাড়াই খুলে দেয় দুঃস্বপ্নের স্মৃতির বন্যা। কী করছেন, কী বলছেন— সে সবের পরোয়া না করে বারবার জেগে ওঠে সেই পশু। আর ফিরিয়ে দেয় দুঃস্বপ্নের অভিজ্ঞতার একের পর এক ছবি। ক্ষমতাহীন, অসহায় ভাবে সেই অসংখ্য ছবির সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয় একা। যেগুলি আপনি ভুলে যাওয়ার জন্য হাজার চেষ্টা করেও পারেননি। মাঝেমধ্যে ছবিগুলো সামনে চলে আসে আর ঘুরতে থাকে মনের ক্যানভাসে। হয়তো অফিসের কোনও প্রেজেন্টেশন ব্যাখ্যা করছেন। বা বন্ধুর সঙ্গে চ্যাট করছেন। টিভি দেখছেন। কিম্বা এয়ারপোর্টে কাউকে রিসিভ করার জন্য অপেক্ষা করছেন।
সারা বিশ্ব ভাবছে, আপনি খুব ভাল আছেন। কিন্তু শুধু আপনিই জানেন, ভিতরে ভিতরে মনের সঙ্গে কী মারাত্মক যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে। আরও ভয়াবহ যে, সেই যুদ্ধের বিষয় নিয়ে আপনি কারও সঙ্গে কথাও বলতে পারছেন না।
এখন একজন ৩৭ বছর বয়সের মহিলা হিসেবে, একজন আইনজীবী ও শিক্ষিকা হিসেবে আমি সেই সময়ের স্মৃতি আওড়াতেও ভয় পাই। কাউকে বলতে ভয় পাই সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। সেই পুরুষের কথা, যাকে বিশ্বাস করে বাবা-মা আমার দেখভালের দায়িত্ব, আমাকে পড়ানোর দায়িত্ব তার উপর সঁপে দিয়েছিলেন।
পিছনে তাকালে দেখতে পাই, নয়ের দশকে দার্জিলিংয়ের শান্ত পাহাড়ি এলাকা। তখন ইন্টারনেট ছিল না। গুড-টাচ, ব্যাড-টাচের পার্থক্য বোঝার মতো তথ্য জোগাড় করাও সম্ভব ছিল না। তখন স্কুলেও এ সব পাঠ দেওয়া হত না। বাবা-মায়ের সঙ্গেও এ সব নিয়ে কথা হত না তেমন। সরাসরি এ সব বিষয়ে কথা বলাকে সমাজও ভাল ভাবে নিত না তখন। এখন মনে হয়, তখন বিষয়গুলো খোলামেলা ভাবে আলোচনা করা গেলে আমি এবং আমার মতো আরও অনেকে রক্ষা পেত।
আরও পড়ুন: পুজো-রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে উদ্যোক্তারা, শুনানি কাল
আশ্চর্যজনক ভাবে যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে লজ্জা সব সময় নির্যাতিতার উপরেই বর্তায়। ১৪ বছরের আমাকে দিয়ে আমি এখনও সেটা বুঝতে পারি। লজ্জার বোঝাটা আমাকেই বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়। তার বিন্দুমাত্র ভাগ নেয় না ওই লোকগুলো। আমার শ্লীলতাহানি করা লোকটাও আমাকে খুব দ্রুত বুঝিয়ে দিয়েছিল, ওই লজ্জার পুরোটাই আমার। কারণ, আমার মা-বাবার সম্মান রাখার দায়িত্ব আমারই। বলেছিল, আমার কথা কেউ বিশ্বাস করবে না। তখনও ভাবতাম। এখনও ভাবি, কেন সম্মানরক্ষার দায় শুধু মেয়েদেরই। কেন পুরুষরা প্রাপ্তবয়স্ক হলেও পরিবারের সম্ভ্রম রক্ষার দায় নেবে না? এখনও উত্তর খুঁজছি এই প্রশ্নের।
ওই লজ্জা আমাকে গিলে খেয়েছে। আমাকে কুঁকড়ে মেরেছে। ওটা এমন এক অভিজ্ঞতা, আগে কখনও যার মুখোমুখি হইনি। লজ্জা আর ভয় আমার সঙ্গী হয়ে উঠেছিল দিনরাত। অথচ সেটা হওয়ার কথা ছিল ওই লোকটার সঙ্গে। সেটাই দীর্ঘ সময়ের জন্য আমাকে চুপ করিয়ে রেখেছিল।
আরও পড়ুন: শহরের জঙ্গলে ফিরে আসুক দামা আর বসন্ত বউরি পাখিদের ডাক
সময় যত এগিয়েছে, ভেবেছি সেই লজ্জা হয়তো লুকোতে পেরেছি। কিন্তু বুঝতে পারিনি, সেই যন্ত্রণা চেপে রেখে দিনের পর দিন যন্ত্রণাটা আরও বাড়িয়ে গিয়েছি। যত লুকোনোর চেষ্টা করেছি, ততই সেই ফ্ল্যাশব্যাক আর দুঃস্বপ্ন বহন করেছি। যত পালাতে চেয়েছি, তত মনের পর্দায় ভেসে উঠেছে সেই শয়তানটার ছবি, তার শক্ত হাতের থাবা আর মুখের কুটিল ভঙ্গি। তখন বুঝতে পারিনি, সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ছিল সেই লজ্জার সঙ্গে যুদ্ধ করা এবং লোকটার মাথা হেঁট করিয়ে দেওয়া।
বছর গড়িয়েছে দশকে। কিন্তু যন্ত্রণা কমেনি। এখনও যখন এই দুঃস্বপ্ন তাড়া করে, মনে হয়, এই তো সেদিনের ঘটনা। যেন গতকালই ঘটেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নীরবে কাঁদি। এক সময় মনে হত, কী ভাবে সেই ঘটনাটার কথা বলব এত বছর পর? কে বিশ্বাস করবে আমার কথা, কে বিনা প্রশ্নে সমর্থন করবে আমায়? যখন বলব, তখন যে প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসবে, তার মোকাবিলা করতে পারব? আমার পরিবার কি আমাকে মেনে নেবে? সবকিছু জানার পর স্বামী ঠিক থাকবে? আমার সঙ্গে থাকবে? বন্ধু, শিক্ষক-সহ সকলের মুখোমুখি হতে পারব? তারা কি আমাকে এড়িয়ে যাবে? নতুন কোনও চাকরি পাব?
আইনজীবী হলেও আমি একজন মহিলা। আমার ভিতরের ১৪ বছরের কিশোরী মেয়েটা এবং এখনকার মহিলা আইনজীবী আমাকে ক্রমাগত বুঝিয়ে গিয়েছে, এই লজ্জা এখনও আমারই। নির্যাতনকারীর নয়। তাই বুঝে গিয়েছিলাম, এটা খুব ঝুঁকির। এত বছর ধরে চুপ থাকার যে শিক্ষা পেয়েছি, সেটাই চালিয়ে যাব। তার পর এক সময় সব ভুলে যাব।
আরও পড়ুন: ‘ভিড় সামলে দেব, কিন্তু অঞ্জলি!’
কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অন্য পরিকল্পনা ছিল। ২০১৯ সালে জানতে পারি, সেই শ্রীমান শিক্ষক এখনও শিলিগুড়ির এক অভিজাত স্কুলে পড়ান এবং শিশু-কিশোরীদের উপর একই ভাবে যৌন নির্যাতন চালান। তখনই মনে একটা বিরাট পরিবর্তন এল। মনে হল, যৌনশিকারির হাত থেকে বেঁচে গেলেও জীবনভর যে যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছি, তা যেন অন্য কারও সঙ্গে না হয়। যে লোকটার জন্য আমি আমার এই কষ্ট বয়ে নিয়ে চলেছি, তা যেন অন্য কোনও মেয়ের ক্ষেত্রে না হয়। আমার বিবেক তাতে সায় দেবে না।
আমার জীবনের মোড় ঘোরানো ঘটনা হল এটা বুঝতে পারা যে, কেন আমি নির্যাতনকারীকে প্রশ্ন করতে পারি না। সে দিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এটা দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না। ওই পশুটার সঙ্গে লড়াই করব। অন্য শিশু-কিশোরীদের তার থাবা থেকে বাঁচাবই! ২২ বছর বুঝতে পারলাম, এই লজ্জা আমার বা তার শিকার অন্য কোনও শিশু-কিশোরী নয়। লজ্জা পুরোটাই ওই শয়তানের। আশ্চর্যজনক ভাবে প্রশ্নের মুখে পড়ার ভয় কেটে গেল। তথ্যপ্রমাণ আছে কিনা, কেউ পাশে থাকবে কিনা— এ সব ভয় কেটে গেল ন্যায়বিচারের জন্য লড়াইয়ের আশা। আমি বুঝে গেলাম, সত্যকে দমিয়ে রাখা যাবে না। কেউ আমাকে বিশ্বাস করুন বা না করুন, সত্যিটা সত্যিই থাকবে। আর সেটাই হবে ওই লোকটার বিরুদ্ধে আমার একমাত্র অস্ত্র।
এটা ঠিক যে, প্রতি চার জন নির্যাতিতার মধ্যে মাত্র এক জন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে আনতে পারেন এবং তার চেয়েও কম সংখ্যক মহিলারা সেটা আদালত পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেন। আমি খুশি যে, শেষ পর্যন্ত সেই সাহস পেয়েছি গত বছরের সেপ্টেম্বরে। সরকারি ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছি দার্জিলিং পুলিশে। নিজেকে বলতে পেরেছি, ওই লোকটাকে আইনের কাঠগড়ায় তুলতে পেরেছি। কিছু মেয়েকে অন্তত ওর কবল থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। আমি না বললে লোকটা আরও অনেকের সর্বনাশ করত এবং চুপ করে থাকলে তাতে পরোক্ষ ভাবে আমিও কার্যত অপরাধী হয়ে যেতাম।
অভিযোগ জানানোর পরেও লড়াইটা সহজ ছিল না। জানতাম, এ সব ঘটনা প্রমাণ করা কতটা কঠিন! কারণ, এই ধরনের সব অপরাধই ঘটে লুকিয়ে-চুরিয়ে। শুধু চার দেওয়ালের মধ্যেই নয়, শিক্ষক-ছাত্রী, কাকা-ভাইঝি, দাদু-নাতনি এমনকি, বাবা-মেয়ের মতো পবিত্র ও সম্মানের সম্পর্কের আড়ালেও। রক্ষকই ভক্ষক হয়ে ওঠে। পরিবারের সম্মানের বোঝা মাথায় নিয়ে চলা ওই নির্যাতিতাদের বয়ে বেড়াতে হয় সারাজীবনের যন্ত্রণা। প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় না বিশ্বাসঘাতকদের।
২০১৯ পেরিয়ে এল ২০২০। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, পুলিশ যে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে পেরেছে, তা ওই লোকটাকে গ্রেফতারের পক্ষে যথেষ্ট। অক্টোবরের ৫ তারিখে খবর পেলাম, লোকটাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দার্জিলিং পাহাড়ের চড়াই-উতরাই জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ধৃত শিলিগুড়ির স্কুলশিক্ষকের খবর। বহু শুভেচ্ছাবার্তা পেলাম আমার স্কুলশিক্ষকদের থেকে। কোভিড মহামারির মধ্যেও যে ভাবে নিরন্তর পরিশ্রম করে তদন্তকারী দলের সদস্যরা তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছেন, তার জন্য বিরাট কৃতিত্ব প্রাপ্য তাঁদের।
২৪ ঘন্টার মধ্যে আরও অনেকে এগিয়ে এল তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে। সেই সংখ্যা যত বেড়েছে, আমি তত সাহস পেয়েছি। তত মনে হয়েছে, নিশ্চয়ই ন্যায়বিচার মিলবে। ওই নির্যাতনকারী দার্জিলিং, শিলিগুড়ির অনেকগুলো স্কুলে শিক্ষকতা করেছে। টিউশনি করেছে। ভাবলে অবাক লাগে, তার শিকারের সংখ্যা কত। সেই সব শিশু-কিশোরের কথা ভেবে কষ্ট হয়। কত শিশু-কিশোরীর সর্বনাশ সে করেছে, সেটা শুধু ওই লোকটাই বলতে পারবে। কিন্তু আমি জানি, সে বলবে না।
এই লোকগুলো সব সময় ভীতু শিকার বেছে নেয়। কারণ, তারা জানে, লজ্জা আর ভয়— এই দুই অস্ত্রেই এদের থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে যাবে। মুখে কুলুপ এঁটে দিতে পারবে নির্যাতিতাদের। কিন্তু সত্যের আশ্চর্য একটা ক্ষমতা আছে। প্রথমে প্রকাশ্যে আনার সময় মনে হতে পারে, কেউ পাশে দাঁড়াবে না। কিন্তু এক বার সত্যিটা বললেই সাহস চলে আসে। কারণ, সত্যি বলার পর সেটা প্রমাণের জন্য কারও সমর্থনের দরকার হয় না। একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। সব সময় মনে শান্তি থাকে যে, তুমি ঠিক কাজটাই করেছো। সেটাই সত্যের ক্ষমতা।
আইনজীবীর পরামর্শে আনন্দবাজার ডিজিটালের এই লেখায় নিজের নাম ব্যবহার করতে পারলাম না। কিন্তু যাঁরা আমার এই লেখা পড়ছেন, তাঁদের বলি, নিজের এমন দুঃসহ অভিযোগকে চেপে রাখা কোনও সমাধান নয়। ২২ বছর ধরে চেপে রাখার পরেও আমি এ কথা বলছি। আমি যে কিছু গোপন না রেখে সকলকে সব কিছু বলে দিয়েছি, সেটাই আমাকে এখন শক্তি দেয়। আমি আগামী প্রজন্মের জন্য মুখ খুলেছি। ১৪ বছরের যে কিশোরী মন ১৯৯৭ সালে ভয় পেয়েছিল, তার জন্য মুখ খুলেছি।
আমার এই লেখা থেকে কোনও শিক্ষা নিতে হলে বলব, যৌন নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতিতাকে নয়, প্রশ্ন করুন সেই সব পুরুষকে। অন্য সব অপরাধে যখন অভিযুক্তকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, লজ্জায় পড়তে হয়, তখন শুধু যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে কেন সব কিছুর মোকাবিলা করতে হয় নির্যাতিতাদেরই? কেন কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও তাঁদেরই মুখ ঢাকতে হয়?
এবার উল্টে ওই লোকটাকেই প্রশ্ন করুন, কেন ২৩ বছর আগেও যা করেছে, এখনও সে তা-ই করে বেড়াচ্ছিল! অন্তত এক বার হলেও তার কাছে এই প্রশ্নের উত্তর চান।
লোকটা এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। জামিনের আর্জি খারিজ হয়েছে। আশা করি, দীর্ঘদিন জেলে থাকবে। জানি বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। বিচারব্যবস্থার উপর আমার আস্থা রয়েছে। আশায় আছি, আরও অনেক নির্যাতিতা ওর বিরুদ্ধে মুখ খুলবে। ওর সম্পর্কে এই ধরনের আরও কোনও তথ্য পেলে দার্জিলিংয়ের ডিএসপি (৯০৮৩২৭০৪০৫) অথবা সোনাদা থানার ওসি (৯৬৭৯৯৮৫১৪৩)-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সময় এসেছে নিজেদের লজ্জার বোঝা ঝেড়ে ফেলে নির্যাতনকারীকে লজ্জা দেওয়ার।
লোকটা সম্পর্কে বলব, ওর কাছ থেকেই আমি এই সাহসটা পেয়েছি। এক মাস ধরে আমার উপর নির্যাতন করার যে লজ্জা আমি এত দিন বয়ে বেড়াচ্ছিলাম, তার থেকেই আমি নিজেকে শক্তি জুগিয়েছি। এই লেখাটা যদি সে পড়ে, তা হলে বুঝতে পারবে, আমি বা অন্যরা তার নির্যাতনের শিকার নয়। সে-ই এখন ক্ষমতাহীন। আমার বা অন্য কোনও শিশু-কিশোরের জীবন আর আনন্দ আমি আর তাকে চুরি করতে দেব না। ২৩ বছর ধরে দিয়েছি। যথেষ্ট সময়। ওর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা জিতবই!
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy