Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

‘ওঁরা চাকরি পেলেন, কেন পাব না আমরা’

আবেদনকারীদের আইনজীবী এক্রামুল বারি বুধবার জানান, পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের হাফিজুল হক-সহ ১৬৩ জন হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা করেছেন। ওই প্রার্থীরা জানান, ২০১৫-’১৭ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরা।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫২
Share: Save:

যখন তাঁরা শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট) পাশ করেন, তখন তাঁদের ‘ডিএলএড’ (২০১৪-’১৬ শিক্ষাবর্ষ) প্রশিক্ষণের ডিগ্রি ছিল না। তা সত্ত্বেও এই ধরনের কয়েকশো প্রার্থীকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে রাজ্য। সেটাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখিয়েই ২০১৫-’১৭ শিক্ষাবর্ষের ডিএলএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করলেন। তাঁদের প্রশ্ন, ‘‘ওঁরা চাকরি পেয়ে থাকলে আমরা পাব না কেন?’’

আবেদনকারীদের আইনজীবী এক্রামুল বারি বুধবার জানান, পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের হাফিজুল হক-সহ ১৬৩ জন হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা করেছেন। ওই প্রার্থীরা জানান, ২০১৫-’১৭ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরা। প্রশিক্ষণ চলাকালীন তাঁরা টেট পাশ করেন। কিন্তু সেই সময় তাঁরা ডিএলএড প্রশিক্ষণের ডিগ্রি হাতে পাননি।

আবেদনকারীদের বক্তব্য, ২০১৪-’১৬ শিক্ষাবর্ষের ডিএলএড প্রার্থীরা যখন টেট পাশ করেন, সেই সময় তাঁরাও প্রশিক্ষণের ডিগ্রি হাতে পাননি। রাজ্য সরকার ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, ওই শিক্ষাবর্ষের ডিএলএড পড়ুয়ারা টেট পাশ সেই নথি জমা দিতে পারেন। তাঁদের নিয়োগের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবে। কিন্তু সরকার যথাসময়ে বিবেচনা না-করায় ওই প্রার্থীরা বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা করেন। তাঁর নির্দেশে রাজ্য কয়েকশো প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেয় রাজ্য। তাঁরা চাকরি পেয়ে থাকলে হাফিজুলদের চাকরি পেতে অসুবিধা কোথায়, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে নতুন মামলার আবেদনে। আগামী সপ্তাহে তার শুনানি হতে পারে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE