Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
টাকা দিচ্ছে না পুর বোর্ড

সুভাষ উৎসবে ‘বঞ্চনা’, সরব বাম-বিজেপি

অন্তত ন’জন বাম ও বিজেপি কাউন্সিলরের অভিযোগ, কলকাতায় সুভাষ উৎসব নিয়ে পুর বোর্ড তাঁদের বঞ্চনা করছে। এবং দলবাজি করছে সমানে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:১০
Share: Save:

প্রথম অভিযোগ, সব কাউন্সিলরকে উৎসবের টাকা দেওয়া হচ্ছে না।

দ্বিতীয় অভিযোগ, কলকাতাতেই কিছু বিরোধী পুরপ্রতিনিধিকে সুভাষ উৎসব থেকে দূরে রাখা হচ্ছে।

আর দুইয়ে মিলিয়ে অন্তত ন’জন বাম ও বিজেপি কাউন্সিলরের অভিযোগ, কলকাতায় সুভাষ উৎসব নিয়ে পুর বোর্ড তাঁদের বঞ্চনা করছে। এবং দলবাজি করছে সমানে।

পুরসভা সূত্রের খবর, ২৩ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবস উপলক্ষে রাজ্যের যুবকল্যাণ দফতর ওয়ার্ড-পিছু ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। কিন্তু উত্তর ও মধ্য কলকাতার কিছু বাম ও বিজেপি কাউন্সিলরকে সেই উৎসবের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মেয়রের এলাকা বেহালায় অনেক বাম কাউন্সিলর এবং মধ্য কলকাতায় কিছু কংগ্রেস কাউন্সিলর উৎসবের টাকা পেয়েছেন। সেই তালিকায় আছেন পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী, সিপিএমের রত্না রায় মজুমদারও।

উৎসবের টাকা পেলেও কিছু কাউন্সিলরকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কিছু কাউন্সিলরকে বাদ দেওয়া চরম অগণতান্ত্রিক আচরণ।’’ পুরসভার খবর, আট নম্বর বরোয় দু’জন বিজেপি কাউন্সিলর আছেন। দশ নম্বরে আছেন চার জন বাম কাউন্সিলর। তাঁরা টাকা পাননি। একই অভিযোগ বড়বাজারের তিন বিজেপি কাউন্সিলরের। দশ নম্বর বরোর বাম কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়েরা জানান, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বরো চেয়ারম্যান, তৃণমূল নেতা তপন দাশগুপ্ত তাঁদের ডেকে ১২ জানুয়ারি বিবেক মেলা এবং ২৩ জানুয়ারি সুভাষ উৎসবের আয়োজন করতে বলেন। কিন্তু বিবেক মেলার পরে গত শনিবার বরো অফিস থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁদের সুভাষ উৎসব করার দরকার নেই।

মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন, ‘‘আমরা বাদ পড়ছি কেন, তা জানতে চেয়েছিলাম। বরো চেয়ারম্যান সদুত্তর দেননি।’’ আট নম্বর বরোর অধীন ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সুব্রত ঘোষের অভিযোগ, নেতাজিকে নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। ‘‘সরকারি টাকায় উৎসব হচ্ছে, অথচ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়েও আমরা সেই টাকায় উৎসব করার সুযোগ পাচ্ছি না! সরকারি টাকা না-পেলেও নিজেদের উদ্যোগে ওয়ার্ডে উৎসব পালন করব,’’ বলেন সুব্রতবাবু।

উৎসবে বঞ্চনা কেন? ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘ওঁরা বিবেক মেলার আয়োজন ভাল ভাবে করতে পারেননি। তাই আর সুভাষ উৎসবের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না।’’

রেড রোডে নেতাজি জয়ন্তী ঘিরেও মন কষাকষি শুরু হয়েছে সরকার ও বাম পক্ষের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রেড রোডেই নেতাজি জয়ন্তীর সরকারি অনুষ্ঠান হবে বলে দিন দুয়েক আগে কার্ড পাঠানো হয় বামেদের। অথচ ওখানে বামেদের অনুষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছিল। কাল, মঙ্গলবার তাঁদের মূল অনুষ্ঠান রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে সরিয়ে নিয়েছেন বামেরা। কেন্দ্রীয় নেতাজি জয়ন্তী কমিটির চেয়ারম্যান বরুণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকার আগে জানালে যৌথ ভাবেই অনুষ্ঠান করা যেত। সেই সময় আর নেই। আমাদের পক্ষে মাহেন্দ্রক্ষণ হল বেলা সওয়া ১২টা। আমরা সেই সময়ের অনুষ্ঠান সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে করে ২টোয় মিছিল করে রেড রোডে যাব।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE