বিধাননগরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ড। নিজস্ব চিত্র
কলকাতা পুরভোটের মতো বিধাননগরেও পুরোপুরি বাম ঐক্য দেখা যায়নি। কলকাতার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম এবং আরএসপি-র প্রার্থী ছিল। একই ভাবে বিধাননগরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডেও বড় শরিক সিপিএম-এর সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে সিপিআই। সেই লড়াইয়ের মধ্যেই সিপিআইয়ের ফ্লেক্স, ব্যানার ছেঁড়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল শুক্রবার। আর তাতে অভিযুক্ত সিপিএম। স্থানীয় সিপিআই কর্মীরা বড় শরিকের বিরুদ্ধে আঙুল তুললেও তা মানতে নারাজ সিপিএম। দলের বক্তব্য, এটা তাদের সংস্কৃতি নয়।
এই ওয়ার্ডটি নিয়ে বিতর্ক আগেই শুরু হয়। গত পুরভোটে বিধাননগরের ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিআই। কিন্তু এ বার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে লড়তে চায়নি সিপিআই। জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকে বলা হয়েছিল ৪১-এর বদলে ২৯, ৩২ বা ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড সিপিআইকে দেওয়া হোক। সাংগঠনিক ভাবে ৪১ নম্বরে সিপিআইয়ের লড়াইয়ের ক্ষমতা নেই এবং দল বিকল্প তিনটি ওয়ার্ডে তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী। যদিও সিপিআইয়ের সেই দাবি গ্রাহ্য না করে গতবারের মতো এ বারেও ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডই বরাদ্দ হয় সিপিআইয়ের জন্য। এর পরে আলোচনা ছাড়াই ৪১-এ প্রার্থী না দিয়ে ৩২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেয় সিপিআই।
এই ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী রয়েছেন সুকান্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সিপিআই প্রার্থী সুহিতা বসুমল্লিক। অভিযোগ বৃহস্পতিবার ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় সুহিতার সমর্থনে ফ্লেক্স লাগায় সিপিআই। কিন্তু শুক্রবার দেখা যায় অধিকাংশ ফ্লেক্সই ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুহিতা বলেন, ‘‘কারা এই কাজ করেছে জানি না। তবে এটা কোনও সুস্থ রাজনীতি হতে পারে না।’’ সুহিতা সিপিএমের নাম না বললেও স্থানীয় সিপিআই কর্মীদের বক্তব্য, এটা বড় শরিকেই কাজ। যদিও বিধাননগরের সিপিএম নেতা তথা রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পলাশ দাস বলেন, ‘‘এ কাজ মোটেও আমাদের কোনও কর্মী করেননি। কারও নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়া বা ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়ার মতো কাজ কখনও সিপিএম করেনি, করে না এবং ভবিষ্যতেও করবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy