কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় রোজই একাধিক মিছিল হচ্ছে। সেই সব মিছিল নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে ধৈর্য ও সংযম দেখাতে হবে বলে মঙ্গলবার থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।
এক বিবৃতিতে পুলিশ কমিশনার জানান, সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শহরে কিছু দিন ধরেই মিছিল করছে বিভিন্ন সংগঠন। তার মধ্যেই রবিবার রাতে দিল্লিতে জেএনইউয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই আক্রমণের প্রতিবাদেও লাগাতার মিছিল বেরোচ্ছে। ওই সব মিছিল ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য মানুষের আবেগ। তাই বর্তমান পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকেও ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
সোমবার রাতে যাদবপুরে পড়ুয়াদের মিছিলে লাঠি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বাঁধে। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হয় পুলিশ। লালবাজারের শীর্ষ কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়ুয়াদের বোঝান। তার পরেই পুলিশ কমিশনার এ দিন বিবৃতি দিয়ে মিছিল নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে আরও সতর্ক হতে বলেন।
পুলিশের লাঠি চালানোর ঘটনা নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআইয়ের লোকাল কমিটির সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ জানান, পুলিশ ক্ষমা চেয়েছে ঠিকই। কিন্তু আগামী দিনে পুলিশ কী আচরণ করে, সে-দিকে নজর রাখতে হবে। ‘‘বিনা প্ররোচনায় পুলিশ সোমবার রাতে আমাদের মিছিলে লাঠি চালিয়েছে। কী এমন পরিস্থিতি হল যে, মিছিলে লাঠি চালাতে হল? বুধবার, ভারত বন্ধের দিনে দেখা যাবে, পুলিশ কী ভূমিকা নিচ্ছে,’’ বলেন দেবরাজ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অভীক দাস বলেন, ‘‘পুলিশ কেন চড়াও হল, তা এখনও বোধগম্য হচ্ছে না।’’ নিজেদের আন্দোলনের শক্তির উপরে ভরসা রেখে নিজেদের দাবিতে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন অভীক।
এ দিকে, সোমবার রাতে যাদবপুরে ডিসি (এসএসডি) সুদীপ সরকারের হেনস্থার ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy