এক নজরে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বদলে ফেলে নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে করোনাভাইরাস। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল, কর্নাটক এবং ছত্তীসগঢ়ে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাংলাতেও সংক্রমণের বিপদসংকেত। বৃহস্পতিবার ফের দৈনিক করোনা সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা। তার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। ৭ দিনের ভিতরে বৃহস্পতিবার কলকাতায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৯ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫০০। নতুন আক্রান্তদের ভিতরে ৭৮ জনই কলকাতার বাসিন্দা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মহানগরীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৯। তার পর থেকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা ক্রমশ নামছিল। পর দিন অর্থাৎ ১৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হন ৬৮ জন। গত ৭ দিনের মধ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৮-এ পর্যন্ত নেমে যায়। ২৪ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ বুধবার সেই সংখ্যাটা ছিল ৭৫। বৃহস্পতিবার বেড়ে হয়েছে ৭৮। তার জেরেই কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্ত ১ লক্ষ ২৯ হাজার ২০৮ জন।
রাজ্যে প্রথম থেকেই দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যায় কলকাতার খুব কাছাকাছি রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। বৃহস্পতিবার সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ জন। এই নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনায় ১ লক্ষ ২৩ হাজার ২ জন করোনা আক্রান্ত হলেন। এ ছাড়া হাওড়া (৯), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৯), পশ্চিম বর্ধমান (৯), বাঁকুড়া (৪), পশ্চিম মেদিনীপুর (৪), পূর্ব মেদিনীপুর (৪), পূর্ব বর্ধমান (৪) এবং হুগলি (৩)-তে এ দিন সংক্রমণের ধার সামান্য।
বৃহস্পতিবার রাজ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ২ জন, এ ছাড়া কলকাতা এবং উত্তর দিনাজপুরে ১ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে করোনায় মৃত্যুতে শীর্ষে কলকাতা। ইতিমধ্যেই কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৯৮ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৫০৬ জনের। গত ৩১ জানুয়ারি রাাজ্যে মৃত্যুর হার ছিল ১.৭৮ শতাংশ। পর দিন তা পৌঁছেছিল ১.৭৯ শতাংশে। বৃহস্পতিবার ধরলে টানা ২৫ দিন রাজ্যে মৃত্যুর হার ওই পর্যায়েই রয়েছে।
রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ হাজার ৩৫৩ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতারই ১ হাজার ১৪৮ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, সেখানে সক্রিয় করোনা রোগী ৯৪১ জন। ২৪ ঘণ্টায় যত সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হয়, তার মধ্যে যতগুলি রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তার শতকরা হারকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। বৃহস্পতিবার রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৩৯৬টি। তার মধ্যে নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা ১৯৯। ফলে বৃহস্পতিবার সংক্রমণের হার হয়েছে ০.৯৮ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy