Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

Coronavirus in West Bengal: কলকাতায় ঠিক কত কোভিড? ডিসেম্বরের হিসাবে কেন্দ্রে-রাজ্যে সংখ্যার বিশাল ফারাক

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ তাঁর চিঠিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ছ’দফা পদক্ষেপেরও সুপারিশ করেছেন রাজ্য সরকারের কাছে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:৫৩
Share: Save:

অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে করোনা মোকাবিলায় কোনও ফাঁক রাখতে চায় না কেন্দ্র। দেশ জুড়ে সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি এবং ওমিক্রন ঘিরে উদ্বেগের আবহে বুধবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নতুন নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণের ওই চিঠিতে ডিসেম্বরে কলকাতায় করোনা সংক্রমণের যে দাবি করা হয়েছে, তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্যের ফারাক রয়েছে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে পাঠানো চিঠিতে রাজেশের দাবি, ডিসেম্বরের ১ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে কলকাতায় ৭,২৫৬ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, ওই সময় সীমার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৭২৪। ডিসেম্বরের ৪ সপ্তাহের পরিসংখ্যান পৃথক ভাবে দেখলেও কেন্দ্রের দাবি এবং রাজ্যের পরিসংখ্যানে গরমিল লক্ষ করা যাচ্ছে।

যদিও কোনও নির্দিষ্ট তারিখের সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর কলকাতা-সহ জেলাগুলিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান দেয় তার ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক পরের দিন সকালে রাজ্যওয়াড়ি সংক্রমণের তালিকা প্রকাশ করে। ফলে এ ক্ষেত্রে তারিখ সংক্রান্ত বিভ্রাটের সম্ভাবনা থেকে যায়। কিন্তু সেই হিসাব ধরলে আক্রান্তের সংখ্যার ফারাকটা আরও বেশি।

রাজ্যের পরিসংখ্যান বলছে, ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর ১,১৯১ জন, ৭ থেকে ১৩ ডিসেম্বর ১,২৪৮ জন, ১৪ থেকে ২০ ডিসেম্বর ১,২২৭ জন এবং ২১ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ১,৩৯৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায়। অর্থাৎ, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫,০৬৪। কিন্তু কেন্দ্রের দাবি, তা আদতে ৭,২৫৬!

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব চিঠিতে জানিয়েছেন, কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সেখানে শৈথিল্যের কোনও অবকাশ নেই। সংক্রমণ ঠেকাতে ছ’দফা পদক্ষেপেরও সুপারিশ করেছেন তিনি। তাতে বলা হয়েছে, নিয়মিত করোনা পরীক্ষা, সংক্রমিতদের চিহ্নিতকরণ এবং বিচ্ছিন্নবাস ও নিভৃতবাসে পাঠানো, সংক্রমণের গুরুত্ব বিবেচনা করে বিধি মেনে ‘গণ্ডিবদ্ধ এলাকা’ এবং ‘বাফার এলাকা’ ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া, অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন, টিকাকরণের গতি বাড়ানো এবং কঠোর ভাবে কোভিড-বিধি মেনে চলার কথা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy