চিন্তিত: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বে়ঞ্চের রায় প্রকাশের পর ভাবনায় বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শুক্রবার কোচবিহারে। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
বিজেপি আদালতে যেতে পারে ভেবে আগেই যাবতীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট সংগ্রহ করেছিল কোচবিহার জেলা পুলিশ, প্রশাসন। এমনকী ওই বিষয়ে আদালতে কী কী যুক্তি তুলে ধরা হবে, সেসবও তালিকাভুক্ত করা হয়। পুলিশ-প্রশাসনের সেই তথ্যই হাইকোর্টে পেশ করা হয়। তার জেরেই আদালতে বিজেপির ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ ও প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, একাধিক বিষয় ওই রিপোর্টে রাখা হয়। তাতে কোচবিহারে এই কর্মসূচি ঘিরে সম্পত্তি থেকে জীবনহানির আশঙ্কার কথাও জানানো হয়। অসম ও বাংলাদেশ লাগোয়া জেলার ভৌগলিক অবস্থানের কথা তুলে ধরা হয়। রিপোর্টে বলা হয়, কোচবিহারের ৫৫০ কিমি এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। অসম সীমানা রয়েছে ৮৪ কিমি। এমন একটি এলাকায় ওই কর্মসূচির সময় গোলমালের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টার আশঙ্কা থাকছে বলে গোয়েন্দাদের তরফে একটি রিপোর্ট মিলেছে।
রিপোর্টে ওই আশঙ্কার স্বপক্ষে কোচবিহার কোতোয়ালি থানা এলাকার একটি মামলার প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, কোচবিহারে রাসমেলায় বড় সংখ্যক পুলিশকর্মী নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বাইরের জেলা থেকেও ফোর্স আনতে হয়েছে মেলার নিরাপত্তার জন্য। এই পরিস্থিতিতে কোনও কর্মসূচি হলে ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত’ করাটাও অসুবিধের। সে বিষয়গুলিও বিস্তারিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের নজরে আনা হয়েছে।
যদিও এসব বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা প্রশাসনের কোনও আধিকারিক। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডের বক্তব্যও জানা যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোন বেজে গিয়েছে।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বিজেপি এই জেলায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চাইছে।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা বলেন, “ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন। তৃণমূলই বরং গোলমাল করার চেষ্টা করেছে।”
বিজেপির একটি সূত্রের বক্তব্য, ৬ ডিসেম্বর রাসমেলা শেষ হওয়ার কথাই প্রাথমিকভাবে জানান হয়েছিল। ৭ ডিসেম্বরের প্রস্তাবিত ওই কর্মসূচির সঙ্গে তাই ওই যুক্তি গুলিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। রাসমেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কোচবিহার পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান ভূষণসিংহ অবশ্য বলেন, “কোচবিহারে রাসমেলার মেয়াদ বাড়ানোর নজির এবারই প্রথম নয়। মেলা শুরুর দিনে ব্যবসায়ীদের কথা ভেবে মেয়াদ বাড়াতে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy