প্রতীকী ছবি।
পুরভোটের দিন শাসক দলের বিরুদ্ধে জাল ভোট ও গা-জোয়ারির অভিযোগের পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এ বার থানার সামনেই জমায়েত করে দলের বিজয়ী দুই কাউন্সিলরকে সংবর্ধনা দিতে চলেছে কংগ্রেস। ম্যাটাডোরে মঞ্চ বেঁধে প্রতীকী ওই সভা করেই ভোটের দিন হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে থানায় দাবিপত্রও দেওয়া হবে।
হেয়ার স্ট্রিট থানার সামনে কাল, মঙ্গলবার সংবর্ধনা সভার মূল উদ্যোক্তা ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। সভায় ৪৫ নম্বর ও ১৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুই জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক ও ওয়াসিম আনসারিকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সভায় থাকার কথা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের। ঘটনাচক্রে, ওই দিনই কংগ্রেসের ১৩৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস। বিবাদী বাগ এলাকায় পুরভোটের দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষের নির্বাচনী এজেন্ট অমিতাভ চক্রবর্তী। তাঁদের অভিযোগ, নকল ভোটার কার্ড বানিয়ে শাসক দলের বাহিনী বুথে ঢুকেছিল, মহিলা পুলিশ ছাড়াই মহিলা ভোটারদের ধাক্কা দিয়েছিল পুলিশও। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমরা শাসক দলের বহিরাগত দুষ্কৃতী ও পুলিশের হাতে আক্রান্ত হয়েছি। সে দিন মানুষ প্রতিরোধ করতে পেরেছিলেন বলেই প্রার্থী সন্তোষ ফের নির্বাচিত হয়েছেন। যে থানার পুলিশ আমাদের উপরে অত্যাচার করেছে, সেই হেয়ার স্ট্রিট থানার সামনেই জয়ী প্রার্থীদের নাগরিক সংবর্ধনা হবে।’’
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বিরোধীরা ‘ভেসে থাকা’র জন্য নানা রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। পুরভোটের ফলই দেখিয়ে দিয়েছে, জনসমর্থনে অন্যেরা তৃণমূলের চেয়ে বহু দূরে! তৃণমূলের একাধিক নেতা অবশ্য একান্তে ফোন করে সন্তোশের লড়াইকে বাহবা দিয়েছেন। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। পুলিশকে চিঠি দিয়ে কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কর্মীরা। পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, সভা বা কর্মসূচি কেউ করতেই পারে। তবে আইন ভাঙলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy