সবংয়ে অবস্থান মঞ্চে কংগ্রেস নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
চারদিনের মধ্যেই অবস্থান প্রত্যাহার করে নিল কংগ্রেস। তবে সবং কলেজের সামনে থেকে অবস্থান উঠে গেলেও আন্দোলন সারা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়বে বলে দাবি করেন রাজ্য নেতৃত্ব। এমনকী আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এটিই হবে তাঁদের মূল অস্ত্র, সে কথাও বুঝিয়ে দেন নেতারা।
কিন্তু তাঁদের এই আন্দোলন নিয়ে কি সর্বভারতীয় কংগ্রেস আদৌ মাথা ঘামাচ্ছে? অবস্থান মঞ্চ থেকেই কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব। বৃহস্পতিবার সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান মঞ্চে হাজির ছিলেন, প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি মানস ভুঁইয়া, প্রদীপ ভট্টাচার্য, সোমেন মিত্র, প্রাক্তন মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সী, জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, জেলা সাধারণ সম্পাদক অনিল শিকারিয়া প্রমুখ।
প্রদেশ কংগ্রেসের প্রায় সর্বস্তরের নেতার উপস্থিতিতে সোমন মিত্র এই অবস্থান প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। এর পরেই মানস ভুঁইয়া জানান, আজ, শুক্রবার মেদিনীপুর শহরে জেলা কংগ্রেসের অবস্থান হবে। ৮সেপ্টেম্বর প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে নবান্নে অভিযান এবং ১৬ সেপ্টেম্বর কলকাতায় গাঁধীমূর্তির পাদদেশে অনশনে বসবে প্রদেশ কংগ্রেস।
মানসবাবু পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাবকে অনুরোধ করেন, “দিল্লির নেতাদের আপনি বলুন যাতে তাঁরা কেন্দ্রীয় দল পাঠান। তাঁরা দেখে যাক বাংলার কংগ্রেস কর্মীরা কী অবস্থায় রয়েছে।” এর পরেই মহম্মদ সোহরাব জানান শুক্রবার রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি সবং প্রসঙ্গ উত্থাপন করবেন। যদিও এর পরেই সর্বভারতীয় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, “এআইসিসি এক অদ্ভুত চরিত্র। সিপিএমের আমলে শত অত্যাচারে আমরা তাঁদের পাশে পাইনি। এখনও তৃণমূলের অত্যাচারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোনও হেলদোল নেই।”
এ দিকে ওই সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে একযোগে রাজ্য সরকার ও পুলিশকে একযোগে বিঁধেছেন দীপা দাশমুন্সি থেকে শুরু করে প্রদেশ নেতৃত্বের সকলেই। দীপা দাসমুন্সী দাবি করেন, ‘‘কৃষ্ণপ্রসাদের মৃত্যু সারা বাংলায় আন্দোলন গড়ে তৃণমূলের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দেবে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে তৃণমূল।” প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “২০১৬ সালে তৃণমূলে বাংলার মাটিতে শেষ হয়ে যাবে।” সবংয়ের এই ঘটনার পরে পুলিশের বিরুদ্ধে লড়াই-আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের সম্ভাবনা কম। তবে এই সবং আন্দোলনকে সারা বাংলায় ছড়িয়ে দিয়ে কংগ্রেসের আস্থা অর্জন করতে হবে।”
প্রদেশ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে কংগ্রেস কর্মীদের চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন মানসবাবু। তাই রাজ্যস্তরে এই আন্দোলন যে বিধানসভা ভোটের আগে ভাল প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে তাঁরা আশাবাদী। জেলা পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়েও যে তাঁরা অবস্থান বদল করছেন না স্পষ্ট জানিয়ে দেন সংসদের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন বলেন, “স্ট্যাণ্ডিং কমিটির বৈঠক বাংলার পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করব। আক্রান্ত আমরার প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছি। ভারতী ঘোষের প্রমোটি আইপিএসের পদ সঠিক প্রক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছিল কী না তাও খতিয়ে দেখতে বলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy