গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ভারতে যে ‘সেমিকন্ডাক্টর বিপ্লব’ হতে চলেছে, তার নেতৃত্ব দিতে চলেছে কলকাতা। শুক্রবার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে এই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে আরও এক বার মনে করিয়ে দিয়েছেন, কলকাতায় এই সম্ভাব্য বিনিয়োগের জন্য কতটা চেষ্টা করেছে রাজ্য সরকার। এ জন্য আমেরিকার সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার মমতা এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘ভারতে সেমিকন্ডাক্টর বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে চলেছে কলকাতা।’’ তার পরেই তিনি জানিয়েছেন, কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর কারখানা যাতে তৈরি হয়, তার জন্য কতটা চেষ্টা করেছে রাজ্য সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যে নতুন প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ আনার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে নিরলস চেষ্টা করেছে, তার ফলেই আমেরিকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। এতে রাজ্যের দক্ষতা এবং ক্ষমতাই প্রকাশ পায়।’’
বৃহস্পতিবার নবান্নে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেন মমতা। তার পরেই তিনি জানিয়েছিলেন, সেমিকন্ডাক্টর কারখানা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমেরিকা কথা বললেও তার নেপথ্যে রয়েছে রাজ্য সরকারের তিন বছরের পরিশ্রম। মমতা বলেছিলেন, ‘‘আমাদের ওয়েবেল তিন বছর ধরে আমেরিকার সঙ্গে কাজ করছে। সেমিকন্ডাক্টর চুক্তির ঘোষণাটুকু শুধু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে। কিন্তু এটা আমাদের সাফল্য।’’ শুক্রবারও তাঁর টুইটে সেই কথাই উঠে এল।
মমতা লিখেছেন, ‘‘আমাদের বিশ্ব বাংলা গড়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও দারুণ কার্যকর হতে চলেছে এই সেমিকন্ডাক্টর কারখানা। বৃহস্পতিবার ভারত সরকার যে টুইট করেছিল, তাতে সে কথাই বলা হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, এ জন্য আমেরিকার সরকার এবং কর্পোরেট সংস্থার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবেন। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বের মানচিত্রে আবার উল্লেখযোগ্য স্থান হিসাবে নিদর্শন রাখবে বাংলা।’’
২১ সেপ্টেম্বর তিন দিনের জন্য আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চতুর্দেশীয় অক্ষ (কোয়াড)-এর বৈঠকে যোগ দেন তিনি। সেই সফর চলাকালীনই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর কারখানা তৈরির বিষয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে মোদীর কথা হয়েছে। এর ফলে দুই দেশেই প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। সেই নিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা। জানিয়েছিলেন, সেমিকন্ডাক্টর কারখানা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমেরিকা কথা বললেও তার নেপথ্যে রয়েছে রাজ্য সরকারের তিন বছরের পরিশ্রম। শুক্রবার আবার সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে সমাজমাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জানালেন আমেরিকার সরকার এবং কর্পোরেট সংস্থার কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy