ছ’বছর আগের সেই দিনটা আজ সম্পূর্ণ অতীত।
২০১১ সালে শিলিগুড়ির পিনটেল ভিলেজে গোর্খা নেতা বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে সই হয়েছিল জিটিএ চুক্তির। শুরু হয়েছিল এক নতুন অধ্যায়ের।
কালের গতিতে আজ সব কিছু পাল্টে গিয়েছে। ফের তপ্ত হয়েছে পাহাড়। যার নেপথ্যে বিমল গুরুঙ্গ। আর এ বার পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে সেই পিনটেল ভিলেজকেই বেছে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমতো বিমল গুরুঙ্গকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ঘোষণা করলেন আগামী ২১ নভেম্বর পাহাড়ের নেতাদের সঙ্গে চতুর্থ বৈঠক হবে সেখানে।
গত মাসে উত্তরকন্যায় বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন পরবর্তী বৈঠক হবে ১৬ অক্টোবর, নবান্নে। সেই মতো আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন পাহাড়ের নেতারা। এ দিন বৈঠকের শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানান, শান্তি ফেরাতে যা করা দরকার তা পাহাড়ের সব দলতে সঙ্গে নিয়েই করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে স্থায়ী সমাধান চাই। আবার যাতে এমন কিছু না হয়, সেই লক্ষ্যে আমরা স্থায়ী সমাধান খুঁজব। কী ভাবে আমরা সমাধান করব, তা নিয়ে কোনও ভাল প্রস্তাব এলে ভেবে দেখব। তবে সমাধান আমাদেরই করতে হবে।’’
আরও পড়ুন: গুরুঙ্গকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আবার পিনটেল ভিলেজে বৈঠকের ডাক
পাশাপাশি পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহারের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি গণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক বলেও মন্তব্য করেন মমতা।বিজেপি বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিনের বৈঠকে মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গ ছাড়া যোগ দেন অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের প্রতিনিধিরা। ছিলেন মোর্চার তিন বিধায়ক, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
অন্য দিকে, এ দিনই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পাহাড়ে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। দার্জিলিং থানাতেও যান ডিজি। পাহাড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy