Advertisement
১২ অক্টোবর ২০২৪
Junior Doctors' Movement

চার্জশিট ঘিরে অসন্তোষ, সিবিআইকে চাপে রাখতে দশমীতে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান নাগরিক সমাজের

সিবিআইয়ের চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসাবে এক জনেরই নামের উল্লেখ রয়েছে। তার পর থেকেই নাগরিক সমাজের প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিবিআই। বুধবারের পর শনিবারও সিবিআই দফতরের অভিমুখে মিছিল।

সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে মিছিলে অংশগ্রহণকারী সাধারণ মানুষের ভিড়।

সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে মিছিলে অংশগ্রহণকারী সাধারণ মানুষের ভিড়। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:২৯
Share: Save:

আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে শনিবার সিবিআই দফতর অভিযান একাধিক নাগরিক মঞ্চের। কিছু দিন আগেই শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে। সেখানে মূল অভিযুক্ত হিসাবে এক জনের কথাই উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পর থেকেই সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। দশমীর দুপুরে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে ফের রাস্তায় নামলেন সাধারণ মানুষেরা। সল্টলেক করুণাময়ী থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল একাধিক নাগরিক মঞ্চের। পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে প্রচুর সাধারণ মানুষ নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে পা মেলান মিছিলে। মিছিল থেকে উঠতে থাকে স্লোগান।

শনিবার প্রায় একশোটি নাগরিক মঞ্চ যৌথ ভাবে এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। মিছিলের জন্য আগেভাগেই প্রস্তুত ছিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। তবে ব্যারিকেড ভাঙার কোনও চেষ্টা দেখা যায়নি। ব্যারিকেডের সামনেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। সেখানেই গানে, স্লোগানে চলতে থাকে প্রতিবাদ। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের একটি প্রতিনি ধিদল সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে গিয়েছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য।

পুজোর ছুটির আগেই সিবিআই নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশ করেছিল। এর পর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মিছিল হয়েছে। পুজোর মধ্যেই গত বুধবার দু’টি চিকিৎসক সংগঠন এবং নার্সদের একটি সংগঠন মিলিত ভাবে সিবিআই দফতর অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সেটিও ছিল করুণাময়ী থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত। এর পর শনিবার ফের নাগরিক সমাজের মিছিল সিজিও কমপ্লেক্সের দিকে।

প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসাবে এক জনেরই নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলায় আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। মূল মামলার সঙ্গে তাঁদের যোগ নেই বলেই আদালতে জানিয়েছিলেন সিবিআই আইনজীবী। এই অবস্থায় আরজি করের ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত, সে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে গতি আনতে সিবিআইকে চাপে রাখতে চাইছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE