নবান্ন সভাঘর থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী । — ফাইল চিত্র।
বুধবার নবান্নে সব দফতরকে নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের পাশাপাশি শীর্ষ আধিকারিক থেকে দফতরের গুরুত্বপূর্ণ আমলাদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠক থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের জন্য মোট ১০৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই পর্যালোচনা বৈঠকের সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটকে জুড়েই দেখছে বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। কারণ, এই ১০৯টি প্রকল্পে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যা মানুষের বহু দিনের দাবি ছিল। মূলত সেই দাবিগুলিই মুখ্যমন্ত্রী পূরণ করবেন বৈঠক থেকে। নবান্ন সভাঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করবেন। নবান্ন সূত্রে খবর, মূলত রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলিই প্রাধান্য পাবে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনে।
নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পগুলির জন্য রাজ্য সরকার আনুমানিক ১১০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। নতুন এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। এর মধ্যে তিনটি উল্লেখ্যযোগ্য সেতু হল বাঁকুড়ার সেতুঘাটের সেতু, চন্দ্রকোনা-ঘাটালে তৈরি নতুন সেতু, ঝাড়গ্রাম জেলার দেব নদীর উপর সেতু। এই তিনটি সেতু নির্মাণে মোট খরচ হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা। এ ছাড়াও পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পের বেশ কিছু গ্রামীণ রাস্তার উদ্বোধন করবেন মমতা। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাজেট বক্তৃতায় প্রথম বার পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২৮ মার্চ সিঙ্গুর থেকে গ্রামীণ রাস্তা তৈরির এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক রাজ্য সরকারি আধিকারিকের কথায়, ‘‘এক মাসের কম সময়ে পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পে অনেক রাস্তা তৈরি করা গিয়েছে। এই সময়ে যে সব রাস্তা তৈরি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে, সেগুলিই উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।’’
এপ্রিল মাসের দুয়ারে সরকার শিবির মারফত সাড়ে ১০ লক্ষ লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন গৃহীত হয়েছে। যাঁদের আবেদন গৃহীত হয়েছে, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানোর সূচনাও করতে পারেন মমতা। নবান্নের সমস্ত শীর্ষ আমলা এবং প্রতিটি দফতরের পদস্থ কর্তাদের বাধ্যতামূলক ভাবে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এই বৈঠকে জেলা আধিকারিকেরাও যোগ দেবেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। উল্লেখ্য, এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ পাঠানোর পাশাপাশি সব দফতরকে তাঁদের কাজের পর্যালোচনার রিপোর্ট ১৯ এপ্রিলের মাধ্যমে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রী-আমলারা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশ মতোই ১৯ তারিখের মধ্যে তাঁদের দফতরের কাজের খতিয়ান জমা দিয়েছেন। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকেই মন্ত্রী ও আমলাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy