পাহাড়ে যে ৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, ৮ মার্চের পরে তার সবটাই সরে যাবে। কেন্দ্রের দাবি মেনে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দিয়েছে। দার্জিলিং পুলিশ-প্রশাসনের হাতে সরকারি নির্দেশ আসার আগেই নানা সূত্রে খবর পেয়ে আধাসেনা বাহিনী তাঁবু গোটানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। রাজ্য চেয়েছিল, আরও ৪ সপ্তাহ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক। মেঘালয়ে ভোটের কারণে কেন্দ্র দু’সপ্তাহের বেশি দিতে রাজি হয়নি।
বিমল গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে তদন্তের ভার কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে দেওয়ার আর্জিটির বিরুদ্ধে আজ বিচারপতি এ কে সিক্রির বেঞ্চে জোরালো সওয়াল করেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল ও অভিষেক মনুসিঙ্ঘভি। অভিষেক যুক্তি দেন, চিন সীমান্তের কাছে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করেছিলেন, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ভাবনা নেই গুরুঙ্গের। ডোকলাম-সংঘাতের সময়ে সেনা-কনভয়ও আটকে যেতে পারত। বিচারপতি সিক্রি বলেন, ‘‘এমন হলে তো কেন্দ্রেরই বেশি চিন্তার কথা।’’
অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, গুরুঙ্গ কি নিজেই ঠিক করতে চান, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কে করবে? অভিষেকের মতে, গুরুঙ্গরা কেন্দ্রের শাসক দলকে ২০১৪-র লোকসভা, ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে সমর্থন করেছেন। তাঁদের সমর্থনে জিতেই কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছেন এস এস অহলুওয়ালিয়া। কেন্দ্রীয় সংস্থার থেকে আরও দরাজ অভ্যর্থনা প্রত্যাশা করছেন তিনি। সিব্বল যুক্তি দেন, বলা হচ্ছে, এটা আবেগের আন্দোলন। জাঠ, গুজ্জর, পাতিদার— সবই তাই। তা বলে ভাঙচুর, আগুন ধরালে কি এফআইআর করা যাবে না! অভিষেক বলেন, ‘‘ঘুম-এর মতো ‘হেরিটেজ’ স্টেশন পোড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের নেতা গুরুঙ্গ দায় এড়াতে পারেন না। আসলে উস্কানির ফলে আন্দোলন ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনের চেহারা নিয়েছিল। গুরুঙ্গেরই নিয়ন্ত্রণ ছিল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy