আগামী ৪ জুলাই দুপুর ১টায় থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে লাগাতার ধর্নায় বসবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে কোনও বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। যে নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অন্দরে। পঞ্চায়েত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে ধর্নায় বসতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রবিবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তাদের এই কর্মসূচির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ জুলাই দুপুর ১টায় থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে লাগাতার অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করবেন তারা। কারণ প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, এই নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সরকারি কর্মচারী, চিকিৎসক, নার্স, শিক্ষক, অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মী-সহ অন্যান্য সকল সরকারি কর্মচারীকে ভোটের কাজে অংশ নিতে হবে। যে সব ভোটকর্মী এই কাজে নিয়োজিত থাকবেন এবং যাঁরা ভোট দিতে আসবেন তাঁদের সকলেরই নিরাপত্তার প্রয়োজন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু না জানানোয় ভোটকর্মীরা উদ্বিগ্ন। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা এই কর্মসূচি নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মঞ্চের নেতারা।
পাশাপাশি, পঞ্চায়েত ভোটে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়ে দাবি জানিয়ে ৩ জুলাই থেকে গণ ইমেল করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই ইমেল পাঠানো হবে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে। পাশাপাশি এ বারের নির্বাচনে ভোটগণনা কেন্দ্র থেকে ‘লাইভ ওয়েবকাস্টিং’ করার দাবি জানানো হয়েছে। গণনা পরবর্তী সময় যাতে কোনও রকম হিংসার ঘটনা না ঘটে, তার আগাম ব্যবস্থার দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে তাদের শহিদ মিনারের ধারণা মঞ্চ থেকে ভোটের দিনগুলিতে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করার কথা জানানো হয়েছে। আগামী ৭ এবং ৮ জুলাই এই হেল্পলাইন নম্বর চালু থাকবে। ফোন করে কোনও ভোটকর্মী এই নম্বরে সাহায্যের আবেদন জানালে তাঁদের সাহায্য করা হবে বলেও মঞ্চের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার যে তার দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করছে না, বিবৃতিতে সেই বিষয়ে স্পষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy