Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

কাকলির বাড়িতে সিবিআই-নোটিস

সিবিআই ও ইডি-র দাবি, জেরায় কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা খানাকুলের তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদ ম্যাথুর কাছ থেকে নেওয়া টাকা মহমেডান স্পোটিং ক্লাবকে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩৯
Share: Save:

নারদ কাণ্ডে ই-মেলে তলবের জবাব না-মেলায় বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের বাড়িতে গিয়ে নোটিস দিয়ে এল সিবিআই। শুক্রবার সকালে মধ্যমগ্রামের কাছে বাদুতে সাংসদের বাড়িতে নোটিস পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, নোটিসে আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে কাকলিদেবীকে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে। এ দিন সকালে তাঁর বাড়িতে নারদ তদন্তের বিষয়েও সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনা হয় কাকলিদেবীর। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়— নারদ কেলেঙ্কারির তদন্তে কেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, মূলত সেই বিষয়টি সাংসদকে অবগত করা হয়েছে। তবে তাঁর বাড়িতে সিবিআইয়ের আসার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কাকলিদাবী।

আবার এ দিনই কলকাতার মহমেডান স্পোটিং ক্লাবকে তলবি নোটিস পাঠিয়েছেন নারদ কাণ্ডের তদন্তকারীরা। সিবিআই ও ইডি-র দাবি, জেরায় কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা খানাকুলের তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদ ম্যাথুর কাছ থেকে নেওয়া টাকা মহমেডান স্পোটিং ক্লাবকে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। ওই সূত্রেই মহমেডান ক্লাবকে তলব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিবিআই-র এক সূত্র। তদন্তকারীদের কথায়, ওই ক্লাবের ফুটবল সচিব বলে নিজেকে দাবি করেছেন ইকবাল। তাঁর কথায়, দল গঠনের সময় নানা জায়গা থেকে অনুদান জোগাড় করেন তিনি। ম্যাথুর কাছ থেকে নেওয়া টাকা সে কাজেই ক্লাবকে দিয়েছেন তিনি। তবে মহমেডান ক্লাবের সচিব গজল জাফর এ দিন বিকেলে বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমার হাতে সিবিআই বা ইডি-র কোনও চিঠি আসেনি।’’

তদন্তকারীদের অভিযোগ, ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে কয়েক খেপে ১৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ইকবাল। সম্পাদিত ফুটেজে ম্যাথুর কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা তাঁকে নিতে দেখা গিয়েছে। এই টাকা ছাড়াও শাসক দলের এক এক জন নেতার কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য আলাদা করে টাকা নিয়েছেন ইকবাল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE