তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
বিধাননগর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে চাকরির পরীক্ষার নথি পেয়েছে সিবিআই। পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড তাঁর বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামীর কাছে মার্কশিট এবং কয়েকটি বদলির আবেদনপত্র ছিল বলে খবর সিবিআই সূত্রে। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, শুধু দেবরাজ নন, তৃণমূলের আরও এক কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে চাকরির পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে। একই দিনে দেবরাজ এবং কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। বাপ্পাদিত্যের কাছ থেকেও চাকরি সংক্রান্ত নথি মিলেছে।
এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেবরাজ বলেন, ‘‘আমার বাড়ি থেকে একটি বা দু’টি অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আমি প্রায় নিশ্চিত, ওই প্রার্থীরা কেউই চাকরি পাননি। হয়তো কোনও শংসাপত্রের জন্য এগুলি কেউ আমাকে দিয়ে গিয়েছিলেন।’’ বদলির আবেদনপত্র দেবরাজের কাছে এল কোথা থেকে? তিনি জানান, তাঁর বাড়ি থেকে যে বদলির আবেদনপত্র পাওয়া গিয়েছে, তা অনেক পুরনো। তৎকালীন বিধায়কের কাছ থেকে সেগুলি তাঁর কাছে পাঠানো হয়েছিল। দুর্নীতির সঙ্গে এ সবের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন দেবরাজ।
গত বৃহস্পতিবার দেবরাজের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। প্রথমে তারা যায় রাজারহাটের বাড়িতে। সেখানে কিছু ক্ষণ থাকার পর অদিতির স্বামীকে নিয়েই সিবিআই আধিকারিকেরা তাঁর দমদম পার্কের বাড়িতে যান। সেখানেও চলে তল্লাশি। সিবিআই বেরিয়ে যাওয়ার পর দেবরাজ বলেছিলেন, ‘‘ওঁরা আমার কাছে কিছু নথি চেয়েছিলেন। সে সব দিয়েছি। তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করব।’’
একই দিনে বাপ্পাদিত্যের পাটুলির বাড়িতেও গিয়েছিল সিবিআইয়ের একটি দল। বেশ কয়েক ঘণ্টা তল্লাশির পর কিছু নথি নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। বাপ্পাদিত্য জানিয়েছিলেন, দু’টি ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট, একটি মোবাইল ফোন এবং কয়েক জনের বায়োডেটা নিয়ে গিয়েছে সিবিআই। পরে জানা গেল, দেবরাজ এবং বাপ্পাদিত্যের কাছ থেকে চাকরির পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে। যাঁদের অ্যাডমিট কার্ড, তাঁরা কেউ চাকরি পেয়েছেন কি না, খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy