অবস্থান বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা। ফাইল চিত্র।
সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। পরে পুলিশ গিয়ে সেই অবস্থান তুলে দেয়। এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই টেট আন্দোলনকারীরা। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে উচ্চ আদালতে। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিন্হার ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি নির্দিষ্ট বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। এর আগে এই মামলায় হাই কোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চে।
সরাসরি নিয়োগের দাবিতে কয়েক দিন আগেই করুণাময়ীতে পর্ষদের দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। বিক্ষোভ অবস্থানের পরের দিন তাঁরা আমরণ অনশন শুরু করেন। চার দিনের মাথায় এলাকায় গিয়ে ‘জোর করে’ টেট আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। থেমে না থেকে আবার পর্ষদের অফিসের সামনে আন্দোলনের পরিকল্পনা শুরু করছেন টেট আন্দোলনকারীরা। তবে হাই কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আপাতত তাঁরা ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ধর্না চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেছেন, ‘‘এর আগে পুলিশ এবং পর্ষদ হাই কোর্টের একক বেঞ্চে ভুল তথ্য দিয়েছে। মামলায় আন্দোলনকারীদের বক্তব্য শোনা হয়নি। আদালতের নির্দেশ এক তরফা ভাবে গিয়েছে। আমরা ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার সবার রয়েছে। গায়ের জোরে পুলিশ তা তুলে দিতে পারে না।”
অর্ণব ঘোষ নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। ওরা আদালতের নির্দেশ দেখিয়ে তুলেছে। আমরাও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। এখন হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পরিকল্পনা করা হবে। তবে আমরা ফের পর্ষদের অফিসের সামনে আন্দোলন করতে প্রস্তুত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy