শুভেন্দু অধিকারীর মামলা খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল ছবি।
পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন বুথে বুথে ঘুরে পরিদর্শন করতে পারবেন না শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর নিজের এলাকা কাঁথির বুথে তো নয়ই। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের সমস্ত বুথেও নয়। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন আগেই নির্দেশ দিয়েছিল। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টও জানিয়ে দিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক ভোটের সময় নিজের ভোট কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোনও বুথে যেতে পারবেন না।
শুভেন্দু কাঁথির বাসিন্দা হলেও তিনি নন্দীগ্রামের ভোটার। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের ফলে তিনি নন্দীগ্রামে শুধু তাঁর ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। এবং শুধু সেখানেই থাকতে পারবেন। তার বাইরে অন্য কোনও বুথে তিনি যেতে পারবেন না।
শনিবার, ৮ জুলাই গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বৃহস্পতিবার কাঁথি থানার তরফে শুভেন্দুকে একটি নোটিস দেওয়া হয়। ওই নোটিসে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন বলেছিল, শনিবার, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালীন অর্থাৎ সকাল ৭টা থেকে সন্ধে ৫টা পর্যন্ত শুভেন্দু তাঁর ভোট কেন্দ্র অর্থাৎ নন্দীগ্রামের যে বুথে তাঁর নাম রয়েছে, তার বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না। এমনকি, শুভেন্দুর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীও ওই বুথে থাকতে পারবে না বলে জানানো হয়েছিল ওই নোটিসে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু ওই নোটিস গ্রহণ করেন। তবে পরে নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা মামলাও করেন হাই কোর্টে। শুক্রবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে। বিচারপতি সিংহ খারিজ করে দেন শুভেন্দুর মামলাটি। আদালত জানিয়ে দেয়, শুভেন্দু যে এলাকার ভোটার, শুধু সেখানেই থাকতে পারবেন তিনি।
উল্লেখ্য, কাঁথি থানার তরফে ওই নোটিস পাওয়ার পর শুভেন্দু তাঁর ঘনিষ্ঠমহলে বলেছিলেন, তিনি আইন জানেন। ভোটের দিন কতটা যাওয়া যায়, কতটা যায় না তা-ও তাঁর জানা আছে। তিনি নিজের বুথের বাইরে অন্য কোনও বুথে যাবেন না। তবে মানুষের প্রয়োজন হলে তিনি তাদের পাশে দাঁড়াবেন। যদিও নির্বাচন কমিশন তার অনেক আগেই রাজ্যের সমস্ত জেলা প্রশাসনের কাছে একটি নোটিস পাঠিয়ে বলে দিয়েছিল, ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা যাতে না নষ্ট হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই রাজনৈতিক নেতাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কিন্তু শুক্রবার হাই কোর্টও শুভেন্দুর মামলা খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছে, এই নির্দেশ নির্বাচন কমিশন কোনও একজন রাজনৈতিক নেতার ক্ষেত্রে জারি করেনি। সবার ক্ষেত্রেই একই নিয়ম বজায় থাকবে। তাই কমিশনের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে এক্ষেত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy