ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের একটি বিজ্ঞপ্তি বুধবার খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। পাচার চক্রের কবল থেকে উদ্ধারের পরে দুই মহিলার প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের টাকা কী ভাবে খরচ হবে, সেই বিষয়ে কিছু নির্দেশ-সহ ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্য টাকার একাংশ ব্যাঙ্কে রাখতে হবে এবং বাকিটা মহিলারা হাতে পাবেন। হাইকোর্ট সেই নির্দেশই এ দিন খারিজ করে দিয়েছে।
কয়েক বছর আগে দুষ্টচক্রের খপ্পরে পড়ে ওই দুই মহিলা পাচার হয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ পরে তাঁদের উদ্ধার করে। ফিরে এসে প্রথমে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জানান দুই মহিলা। ওই কর্তৃপক্ষ কম টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ায় তাঁরা রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কাছে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে ওই কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করে একটি বিজ্ঞপ্তি মারফত দুই মহিলাকে জানিয়ে দেন, ক্ষতিপূরণের টাকার ৭৫ শতাংশ ব্যাঙ্কে ১০ বছরের জন্য ‘ফিক্সড ডিপোজ়িট’ বা স্থায়ী আমানত করে রাখতে হবে। স্থায়ী আমানতের সুদের টাকা তাঁরা মাসে মাসে খরচ করতে পারবেন। বাকি ২৫ শতাংশ টাকা এককালীন দেওয়া হবে দুই মহিলাকে। কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন দুই মহিলা।
ওই দুই মহিলার আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত, অর্ণব নন্দী আদালতে জানান, রাষ্ট্র তার নাগরিকের সুরক্ষা দিতে না-পারায় ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। সেই টাকা কী ভাবে খরচ করা হবে, সেটা ঠিক করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের। সরকারি কৌঁসুলি শিবশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, পাছে নির্যাতিতাদের বাড়ির লোক অহেতুক খরচ করেন, সেই জন্যই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ক্ষতিপূরণের ৭৫ শতাংশ টাকা ব্যাঙ্কে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গচ্ছিত রাখতে বলা হয়েছিল। আইনজীবী শিবিরের একাংশের পর্যবেক্ষণ, উচ্চ আদালত ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেওয়ায় এটাই প্রতিষ্ঠিত হল যে, ক্ষতিপূরণের টাকা খরচের পূর্ণ অধিকার প্রাপকের। অন্য কেউ সেই টাকা খরচের ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নির্দেশ করতে পারে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy