নবান্ন অভিযান নিয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
নবান্ন অভিযান নিয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার আদালতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এর পর ওই কর্মসূচি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে পুলিশ।
নবান্ন অভিযান কর্মসূচির নেপথ্যে কারা, তা জানতে চেয়ে সম্প্রতি হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন ভরতকুমার মিশ্র নামে এক প্রবীণ। মামলাকারীর যুক্তি ছিল, ওই মিছিল হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তাঁর বক্তব্য, ১৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হয়েছে। সেখান থেকে ফিরবেন তীর্থযাত্রীরা। তিনি নিজেও গঙ্গাসাগর যাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সংস্থায় যুক্ত। ফলে ১৬ জানুয়ারি ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচি হলে সমস্যায় পড়তে পারেন তীর্থযাত্রীরা। মঙ্গলবারও ওই মামলার শুনানিতে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘‘তীর্থযাত্রীরা তো ডায়মন্ড হারবারের দিক থেকে আসবেন। তা হলে সমস্যা কোথায়?”
বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ফের কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল। তাঁদের সহ্যশক্তি অনেক বেশি। তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরেই মিটিং-মিছিলে অভ্যস্ত। গাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় বড় মিছিলে আটকে গেলে কেউ কিছু বলেন না। মা উড়ালপুলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আটকে থাকলেও তাঁরা মুখ বুজে সহ্য করেন। তা নিয়ে সবাই খুব খুশি!’’ আদালতের যুক্তি, বঙ্গে প্রায়ই এমন মিটিং-মিছিল হয়ে থাকে। তাই এই ‘অভিযান’ বন্ধ করার জন্য আলাদা করে আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ পুলিশই করবে বলে জানিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। এর পরেই মামলাকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি গঙ্গাসাগর যান। মেলা শুরুর আগে ও পরে সেখানে সুন্দর ব্যবস্থা থাকে। কপিল মুনির আশ্রম রয়েছে। পরিষ্কার খাবার পাওয়া যায়। সেখান থেকে ঘুরে আসুন!’’
১৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল ‘নবান্ন চলো’ লেখা একাধিক পোস্টার। সঙ্গে লেখা ছিল স্লোগান, ‘রাত দখলের পর/ আজ দাবি দখল’। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ওয়েলিংটন স্কোয়্যারে জমায়েতের কথা বলা হয়েছিল। সেখান থেকে মিছিল যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নের দিকে। তবে কারা ওই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে পোস্টারে তার উল্লেখ ছিল না। এর পরেই কর্মসূচির নেতৃস্থানীয়দের পরিচয় জানতে চেয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy