রাজ্য ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিল, তার রিপোর্ট পরবর্তীতে আদালতে জমা দিতে হবে বলে জানায় হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র
কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই পঞ্চম স্টেটাস রিপোর্ট জমা করে আদালতের কাছে। এই রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ২৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়াও ২৫০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে এবং ২৬ জনের বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চলছে।
এই মামলায় কলকাতার কাঁকুড়গাছি এলাকায় মারা যান এক বিজেপি কর্মী। নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে মন্তব্য করে কলকাতা হাই কোর্ট। দু’মাসের মধ্যে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে বিবেচনা করতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেয়।
একই সঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে সব ভুক্তভোগী রয়েছেন, তাঁদেরকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করতে রাজ্যকে নির্দেশ দেয় আদালত।
রাজ্য ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিল, তার রিপোর্ট পরবর্তীতে আদালতে জমা দিতে হবে বলে জানায় হাই কোর্ট।
আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল জানান, প্রায় ৩০০ জনের কাছাকাছি মানুষ এখনও ঘরছাড়া অবস্থায় রয়েছেন। ঘরে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের। কর্মক্ষেত্রেও যেতে পারছেন না তাঁরা। এমনকি, কেউ বাড়ি ফিরতে চাইলেও তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে।
তিনি জানান, অত্যাচারের পরিমাণ দিনে দিনে এতই বাড়ছে যে, এক নাবালিকা ঘরে ফিরে আসতে চাইলে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টাও করা হয়েছে।
যাঁরা এখনও বাড়ি ফিরতে পারছেন না, গৃহহীন অবস্থায় রয়েছেন, তাঁদের অভিযোগ শুনতে আদালত এক বিশেষ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়। এই কমিটি মোট তিন জনকে নিয়ে গঠিত হবে। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের এক সদস্য অথবা তাঁর মনোনীত এক জন সদস্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক সদস্য অথবা তাঁর মনোনীত কোনও সদস্য এবং রাজ্য আইন সেবা কমিটির এক জন সদস্য— এই তিন সদস্যকে কমিটিতে রাখা হবে বলে আদালত নির্ধারণ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy