কলকাতার প্রাক্তন সিপি বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে এফআইআরে আর্জি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হাই কোর্টে। —ফাইল চিত্র।
কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আর্জিতে জনস্বার্থ মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে হাই কোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবার সেই মামলায় কেন্দ্রের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। এই দফতরটি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতেই রয়েছে। যে হেতু আইপিএস বিনীত গোয়েল কেন্দ্রীয় ক্যাডারের আধিকারিক, সেই কারণেই কেন্দ্রের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরকে মামলায় যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
আরজি করের নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে উল্লেখ করার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আর্জি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী অমৃতা পাণ্ডে। সোমবার ওই মামলায় কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরকে একটি হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জনস্বার্থ মামলাকারী অমৃতা জানিয়েছেন, কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরের অধীনে থাকা কোনও ব্যক্তি আইনভঙ্গ করলে, তাঁর বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ করা যায়, সেই বিষয়ে ব্যাখ্যার জন্যই হলফনামা তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পুজোর ছুটির পর হাই কোর্টের কার্যক্রম চালু হলে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই মামলাটি নিয়ে যখন প্রথম বার হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল, তখন হাই কোর্ট শুরুতে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। আদালত জানিয়েছিল, আরজি কর মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেখানে এই মামলায় কী হয়, তা দেখা হবে। সেই কারণে তৎক্ষণাৎ ওই মামলায় হস্তক্ষেপ করেনি হাই কোর্ট। এর পরে জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী মহেশ জেঠমলানি হাই কোর্টে জানিয়েছিলেন, শীর্ষ আদালত ওই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। মামলাটির দ্রুত শুনানিরই আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। সেই আর্জির পর গত শুক্রবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহে মামলাটি শোনা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy