ফাইল চিত্র।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে টসিলিজ়ুমাব ইঞ্জেকশন উধাও হওয়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারের বক্তব্য তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার নির্দেশ দিয়েছে, ২ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামার আকারে বক্তব্য জানাতে হবে। সে-দিন এই মামলার ফের শুনানি হবে।
করোনা চিকিৎসায় টসিলিজ়ুমাব অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ। দেবাংশী সাহা নামে এক চিকিৎসক মেডিক্যাল কলেজ থেকে নিয়মবহির্ভূত ভাবে সেই ইঞ্জেকশন সরিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনা নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তাপস মাইতি নামে এক ব্যক্তি। তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, শামিম আহমেদ ও সালোনি ভট্টাচার্য এ দিন হাই কোর্টে জানান, এ ব্যাপারে কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে ফৌজদারি তদন্ত করানো হোক। সেই সঙ্গে এই ধরনের ওষুধের অডিট এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হোক।
সালোনি জানান, এই ঘটনায় রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বলে সরকারি কৌঁসুলি আদালতে জানিয়েছেন। তবে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, শুধু তদন্ত শুরু করাই যথেষ্ট নয়। যে-হেতু অভিযুক্তেরা সরকারি কর্মী, তাই তাঁদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে কি না, তা-ও জানাতে হবে।
সরকারি সূত্রের খবর, দেবাংশীকে ইতিমধ্যেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে কোচবিহারের শীতলখুচিতে বদলি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি যে-সিস্টার-ইনচার্জ দেবাংশীকে ওই ওষুধ দিয়েছিলেন বলে তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, তাঁকেও বদলি করা হয়েছে কোচবিহারের অন্য এক হাসপাতালে। তবে ফৌজদারি তদন্তের বিষয়ে সরকারি সূত্র কার্যত নীরব। ওই সূত্রের দাবি, দু’জনকে বদলি করা হলেও ইঞ্জেকশনগুলি কোথায় গেল, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য তদন্তে উঠে আসেনি। তাই তদন্ত কত দূর গড়িয়েছে, সেই ব্যাপারে প্রশাসনের অন্দরেই প্রশ্ন রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy