নিজের পিঠে টিউবলাইট ভাঙার পর রক্তাক্ত এক মোর্চা সমর্থক।— নিজস্ব চিত্র।
জিটিএ নয়, পাহাড়ের মূল দাবি যে গোর্খাল্যান্ড, তা বোঝাতে এ বার চুক্তিপত্র পুড়িয়ে আন্দোলনে নামল মোর্চা। পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে রক্তাক্ত আন্দোলনকেও বেছে নেওয়া হল।
দিন-ক্ষণ ঘোষণা করে দিন কয়েক আগে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুঙ্গ গোপন আস্তানা থেকে জানিয়েছিলেন, জিটিএ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসবেন তাঁরা। সেই মতো মঙ্গলবার পাহাড়ের বেশ কয়েকটি জায়গায় ওই চুক্তিপত্র পোড়ানো হয়। তার পরেই মোর্চা জিটিএ থেকে বেরিয়ে আসার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে।
এ দিন সকাল থেকে জিটিএ-র অধীনে থাকা ৪৫টি অঞ্চলে মিছিল করেন মোর্চা সমর্থকেরা। যে হেতু পিনটেল ভিলেজে ওই চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছিল, তাই সেখানেও পোড়ানো হয় জিটিএ চুক্তি। দার্জিলিঙের চকবাজার এলাকায় এ দিন টিউবলাইট হাতে মিছিল করেন মোর্চা সমর্থকেরা। পরে নিজেদের পিঠে সেই লাইট ভাঙেন। ঘটনায় রক্তাক্ত হন বেশ কয়েক সমর্থক।
আরও পড়ুন: আত্মহননের হুমকি মোর্চার
মোর্চার এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক রাজ্যে পিঠে টিউবলাইট ভেঙে কোনও আন্দোলন হতে পারে না।’’ মোর্চা নেতারা তাদের কর্মী-সমর্থকদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন পর্যটনমন্ত্রী। এ ভাবে চুক্তিপত্র পোড়ালে জিটিএ-র কার্যকারিতা নষ্ট হয় না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী গৌতম দেব।
অন্য দিকে, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে তাঁরা যে সরবেন না ফের এক বার সে কথা স্পষ্ট করেন মোর্চা নেতা বিনয় তামাঙ্গ। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ। এ বার থেকে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে শুধু কেন্দ্রের সঙ্গেই কথা বলব আমরা।’’ পাশাপাশি এ দিন থেকেই চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুব মোর্চাও। রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াতে আত্মাহুতি ও আমরণ অনশন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে তারা। সব মিলিয়ে মোর্চার ডাকা বনধের ১৩-তম দিনে উত্তপ্ত পাহাড়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy