Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Howrah

মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা পর সৎকার কোভিডে মৃত ব্যক্তির দেহ, প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগ

হাসপাতাল থেকে মৃতের পরিবারকে নিজেদের দায়িত্বে দেহ নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। পরে বলা হয় মৃতদেহ হাসপাতালের উদ্যোগেই পুরনিগমের গাড়ি করে পাঠানো হবে।

মৃতের পরিবারের লোকজন

মৃতের পরিবারের লোকজন নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২১ ১৮:০৭
Share: Save:

করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ সৎকার ঘিরে জটিলতা। মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা পর দাহ করা হল দেহ। হাওড়ার বেলুড়ের ঘটনা। শনিবার দুপুরে লিলুয়ার রেল হাসপাতালে মৃত্যু হয় কার্তিক বাইন (৬৭) নামে ওই ব্যক্তির। তিনি রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। রেল হাসপাতালে শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর পর থেকে দেহ সৎকার কারা করবে, তা নিয়ে টানাপড়েন চলে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত দেহটি পড়ে থাকে রেল হাসপাতালের মর্গে। পরিবারের লোকজনও সমস্যায় পড়ে যান। অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে মৃতের পরিবারকে নিজেদের দায়িত্বে দেহ নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। পরে আবার বলা হয় মৃতদেহ হাসপাতালের উদ্যোগেই পুরনিগমের গাড়ি করেই সৎকারে পাঠানো হবে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে হাওড়া পুর নিগমের ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর কৈলাস মিশ্র মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন।

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে ব্যক্তিগত অ্যাম্বুল্যান্সের নম্বর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স চালক প্রচুর টাকা দাবি করেন দেহ নিয়ে গিয়ে সৎকার করার জন্য। যেটা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কার্তিকের মেয়ে কমলিকা বলেন, ‘‘বাবা কোভিড রোগী ছিলেন। প্রথমে তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১২ দিন ভর্তি থাকার পরে রেলের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।’’

সৎকার নিয়ে জটিলতার অভিযোগ সম্পর্কে রেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে চায়নি। যদিও স্বীকার করে নেওয়া হয়, মৃতদেহ ৪৮ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। স্বাস্থ্য দপ্তরের ঘাড়েই তারা দোষ চাপিয়েছে। অন্যদিকে, হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিষয়টি জানেন না বলেই উল্লেখ করেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Howrah belur Coronavirus in West Bengal COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy