মেজাজে: উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার নাগরডাঙা টালিখোলা এলাকায় এক আদিবাসী দম্পতির মাটির বারান্দায় বসে কলাপাতায় দুপুরের খাবার খেলেন বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ, লকেট চট্টোপাধ্যায়। ‘‘এত বড় মানুষ আমাদের বাড়ি এসে পাত পেড়ে খাবেন, ভাবিনি,’’ বললেন গৃহিণী রাজশ্বরী। ছবি: সুদীপ ঘোষ।
তিনিই প্রথম বলেন ‘ভাগ মমতা ভাগ’। তখনও এ রাজ্যের ভোটবাক্সে বিজেপির অবস্থান ছিল ‘নগণ্য’। তবে একের পর এক রাজ্যে বিজেপির উত্তরণের ধারাবাহিকতার সঙ্গে এ রাজ্যে বিজেপি এখন ভোট-দৌড়ে দ্বিতীয় স্থানের অন্যতম দাবিদার। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী হিসেবে এ রাজ্যে প্রথম বার এসে সিদ্ধার্থনাথ সিংহ শুক্রবারও ফের হুমকি দিলেন, ‘‘ভাগ মমতা ভাগ।’’ আরও জুড়লেন, ‘‘আগেও বলেছি ভাগ মমতা ভাগ। এখনও বলছি। ২০১৯ না হলে ২০২১-এ দেখবেন ভাগ মমতা ভাগই হচ্ছে। হয়তো পাঁচ বছর দেরি হচ্ছে!’’ তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘কাকে ভাগাতে হয়, বাংলার মানুষ জানে। বাংলার মাটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।’’
মোদী সরকারের তিন বছর পূর্তিতে এ দিন থেকেই রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছেন একঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী। সিদ্ধার্থনাথ আমডাঙায় আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে ভোজ সেরেছেন। নৈহাটিতে বৈঠকে মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছতে নির্দেশ দেন দলীয় কর্মীদের। কোচবিহারে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিযোগ করেন, প্রতিশ্রুতিমতো পরিষেবা না পেয়ে সাবেক ছিটমহলের অস্থায়ী শিবিরে থাকা বাসিন্দারা বাংলাদেশে ফেরত যেতে চাইছেন। কেন্দ্র টাকা পাঠালেও রাজ্য সদ্ব্যবহার করছে না বলে তাঁর অভিযোগ।
দুর্গাপুরেও ‘মোদী মেলা’র উদ্বোধনে এসে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতির সমালোচনা করেন। সম্প্রতি রাজ্যে লগ্নি টানতে শিল্প সম্মেলন ও ‘রোড-শো’ করে ঝাড়খণ্ড সরকার। সেই প্রসঙ্গ এবং এ রাজ্যের শিল্প-পরিস্থিতির তুলনা করে রঘুবরের অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কেউ লগ্নি করে না। এ রাজ্যের লগ্নিকারীরা ঝাড়খণ্ডে পাট ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে লগ্নি করছেন। এখানে সরকার না বদলালে বাকিরাও চলে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy