Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Jagannath sarkar

চার্জশিটের পরে জামিন জগন্নাথের

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সত্যজিৎ খুনের পরের দু’দিনে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুন্ডারির সঙ্গে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ হয় জগন্নাথের।

সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় জামিন নিতে রানাঘাট আদালতে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সোমবার। ছবি: প্রণব দেবনাথ

সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় জামিন নিতে রানাঘাট আদালতে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সোমবার। ছবি: প্রণব দেবনাথ

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৫৫
Share: Save:

সত্যজিৎ-খুনের চার্জশিটে নাম থাকায় অক্টোবরে তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছিল রানাঘাট আদালত। সোমবার ওই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছিল সিআইডি। গ্রেফতারি এড়াতে আগেই কলকাতা হাইকোর্টে অম্তর্বর্তী জামিন নেন জগন্নাথ। সোমবার রানাঘাটের এসিজেএম প্রত্যয়ী চৌধুরী তাঁর নিয়মিত জামিন মঞ্জুর করেছেন।

এ দিন নদিয়া জেলা বিজেপির কয়েক জন নেতাকে নিয়ে আদালতে যান জগন্নাথ। সরকারি আইনজীবী প্রদীপ প্রামাণিক বলেন, “কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় জগন্নাথ সরকার জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী জামিনের কথা মাথায় রেখে বিচারক তাঁর নিয়মিত জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।”

গত বছর ৯ ফেব্রয়ারি, স্বরস্বতী পুজোর আগের রাতে হাঁসখালিতে বাড়ির কাছেই গুলিতে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ। সিআইডি পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল। গত বছর ১৪ জুন তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়, প্রমাণাভাবে নিষ্কৃতি পান দু’জন। এফআইআর-এ জগন্নাথ এবং বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নাম ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে থাকলেও ওই চার্জশিটে তা ছিল না। কিন্তু অতিরিক্ত চার্জশিটে জগন্নাথকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, মুকুলের বিষয়ে আরও তদন্তের জন্য সিআইডি-কে তিন মাস মঞ্জুর করেছে আদালত।

সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবানী ভবনে ডাকতেই গত ১১ মার্চ হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন নিয়েছিলেন জগন্নাথ। তাঁর আইনজীবী রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মাসে এক দিন সিআইডি-র সঙ্গে দেখা করা এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই শর্তই বহাল রেখে এক লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে। সিআইডি-র কাছে পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে কি না, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।”

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সত্যজিৎ খুনের পরের দু’দিনে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুন্ডারির সঙ্গে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ হয় জগন্নাথের। এ দিন জামিন পাওয়ার পরে দৃশ্যতই খোশমেজাজে থাকা জগন্নাথ দাবি করেন, “আমি সকলের ফোন ধরি। যত দুর মনে পড়ছে, অভিযুক্ত আমাকে ফোন করে দলে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল। আমি মণ্ডল সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।” সরকারি আইনজীবী প্রদীপ প্রামাণিক বলেন, “সিআইডি-র দেওয়া চার্জশিটের প্রেক্ষিতে আগামী ১৮ অক্টোবর বিচারক তাঁকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার আগেই তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। ওই দিন আর তাঁকে আসতে হবে না।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy