মোদীর দরবারে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। ফাইল চিত্র
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের উন্নতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জোড়া চিঠি ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর। গত ১৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো চিঠিতে শ্রীরূপা মালদহ হাসপাতালে কার্ডিয়াক ক্যাথ ল্যাব ও হার্ট কেয়ার ইউনিট তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী কেয়ার ফান্ড বা বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের আর্জি জানিয়েছেন। আরও একটি চিঠিতে ওই হাসপাতালেই শিশুদের জন্য একটি কোভিড ওয়ার্ড চালুর দাবিতে অর্থ বরাদ্দ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
শ্রীরূপা বলেন, ‘‘আমি দিল্লিতে শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, অন্যান্য কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গেও উত্তরবঙ্গের উন্নয়নমূলক নানা প্রকল্প নিয়ে কথা বলছি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ না পেলেও চিঠি দিয়েছি। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর সঙ্গেও দেখা করেছি। বিভিন্ন দাবি দাওয়া জানিয়েছি। কথা বলেছি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর সঙ্গেও।’’
মোদীকে পাঠানো চিঠিতে শ্রীরূপা দাবি করেছেন, মালদহ হাসপাতালে শুধু উত্তরবঙ্গ বা বাংলাই নয়, বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য থেকে রোগী আসেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ, নেপালের রোগীদের বড় ভরসা এই হাসপাতাল। তাই তার উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য প্রয়োজন।
রাজ্যের হাসপাতালের জন্য কি কোনও বিধায়ক এই ভাবে আবেদন করতে পারেন? জবাবে শ্রীরূপা বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক রং বিচার করা উচিত নয়। আমি প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠি মালদহের জেলাশাসককেও পাঠিয়েছি। আমি জানি না কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ করলে সেটা রাজ্য সরকার না, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খরচ হবে। আমি শুধু চাই আমার রাজ্য, আমার বিধানসভা এলাকার হাসপাতালের উন্নতি।’’
শ্রীরূপা জানিয়েছেন, গডকড়ীর সঙ্গে দেখা করে শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি এলাকায় জাতীয় সড়কের বেহাল দশা কাটানোর দাবি জানিয়েছি। কিছু প্রয়োজনীয় সেতু নির্মাণ ও জাতীয় সড়কের পাশে সবুজায়নের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘গডকড়ী’জি আমার সঙ্গে কথা বলার পরে দাবি বিবেচনার ব্যাপারে আস্বস্ত করেছেন। মাণ্ডব্য’জি-ও বলেছেন মালদহ হাসপাতালের উন্নয়নে তিনি উদ্যোগী হবেন।’’ তবে এই বারে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ তিনি পাবেন কি না তা নিয়ে অনিশ্চিত শ্রীরূপা। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর অনেক ব্যস্ততা থাকে। তাই অপেক্ষায় রয়েছি। আমি প্রতি বছর মোদী’জিকে রাখি বাঁধতে আসি। গত বছর করোনার জন্য হয়নি। এই বারেও সম্ভব হবে কি না জানি না। আর হাসপাতালের জন্য চিঠি দিলেও সাক্ষাতের সময় মেলেনি। দু’দিন পরে রাজ্যে ফিরে গেলেও উনি সময় দিতে পারলেই ফের দিল্লি আসব।’’ চলতি সফরে বাংলা থেকে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক এবং জন বার্লার সঙ্গেও দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গেও উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে তিনি কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীরূপা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy