তৃণমূল নেতা তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। ফাইল চিত্র
বৃহস্পতিবার স্ত্রীর পারলৌকিক অনুষ্ঠান হয়েছে কাঁচড়াপাড়ার বাড়িতে। এখনও পারিবারিক রীতি মেনে নিয়মভঙ্গ হয়নি। তার মধ্যেই শুক্রবার বিধানসভায় এলেন মুকুল রায়। পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান হিসেবে সারলেন প্রথম বৈঠক। মুকুলের যে দায়িত্ব নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল, শুক্রবার তা পালন করলেও খুব অল্প সময়ই চলে পিএসি-র বৈঠক। তবে শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার দাবিতে হওয়া শুনানিতে হাজির ছিলেন না তিনি।
বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পরে গত ৬ জুলাই চেন্নাইয়ের হাসপাতালে মৃত্যু হয় মুকুল-জায়া কৃষ্ণা রায়ের। বৃহস্পতিবার ছিল শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। কাঁচড়াপাড়ার বাড়িতে সেই অনুষ্ঠানের পরে পারিবারিক নিয়ম মেনে নিয়মভঙ্গের রীতিপালন হয়নি এখনও। মুকুলের এক ঘনিষ্ঠ জানিয়েছেন, শনিবার সেই রীতি পালনের কথা ছিল। কিন্তু বিধানসভায় পিএসি-র বৈঠক থাকার কারণেই সেটি রবিবার হবে। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে ঠিক ছিল বৃহস্পতিবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের পরে শনিবার হবে নিয়মভঙ্গের অনুষ্ঠান। কিন্তু পিএসি-র বৈঠক থাকায় দাদা সেটা পিছিয়ে রবিবার করে দেন।’’
বিজেপি-র টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিধায়ক হয়ে মুকুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার আর্জি জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখনই স্পিকার জানিয়েছিলেন ১৬ জুলাই হবে প্রথম শুনানি। শুক্রবার মুকুল হাজির না থাকলেও শুনানি হয়। তবে মিনিট চারেকের মধ্যেই শুনানি শেষ হয়। শুনানির পরবর্তী তারিখ ৩০ জুলাই। তবে সেই শুনানিতে যে বিজেপি খুব বেশি ভরসা রাখছে না তা বুঝিয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলছি, তৃণমূলের পরিচালিত ব্যবস্থার উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। আমরা বিজেপি-র পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেব। তথ্য প্রমাণ জমা দেব। এই ধরনের ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। নির্দিষ্ট সময়ে যাতে শুনানি শেষ হয়, তার জন্য আবেদন করব।’’
মুকুলকে পিএসসি চেয়ারম্যান করা নিয়েও উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। প্রতিবাদ জানিয়ে আটটি কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছেড়েছেন বিজেপি বিধায়করা। শুক্রবার সেই সব কমিটির জন্য নতুন চেয়ারম্যানদের নামও ঘোষণা করে দিয়েছেন স্পিকার। তবে শুক্রবার মুকুল পিএসি-র বৈঠকে থাকবেন কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যায় পারিবারিক শোকের আবহেও মুকুল আসেন বিধানসভায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy